সাধারণ ডট নেটে আপনাকে স্বাগতম! রেজিষ্ট্রেশন করে আজই আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে যান...

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য - প্রশ্ন উত্তর

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দীর্ঘ দিন সহবাস না করলে কি হয়?

দীর্ঘদিন সহবাস না করলে অনেক কিছুই হতে পারে। অনেকের দীর্ঘদিন সহবাস না করলে যৌন চাহিদা অনেক বেড়ে যায় আবার অনেকের ক্ষেত্রে কমে যায়। এটা ডিপেন্ড করে সে কোনো সিচুয়েশনে পড়ে দীর্ঘদিন যাবৎ যৌন মিলন বা সহবাস থেকে বিরত আছে। আরও যেসব সমস্যা হতে পারেঃ 

  • হরমোন পরিবর্তন: যৌন মিলনে সক্রিয়তা হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। দীর্ঘদিন যৌন সম্পর্কে না লিপ্ত হওয়ার ফলে হরমোনের মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে যা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • শারীরিক পরিবর্তন: পুরুষদের ক্ষেত্রে, দীর্ঘদিন যৌন সম্পর্কে না থাকলে লিঙ্গের রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে যার ফলে উত্থানে সমস্যা হতে পারে।
  • ঋতুস্রাবের সমস্যা: নারীদের ক্ষেত্রে, দীর্ঘদিন যৌন সম্পর্কে না থাকলে ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, যৌন মিলনে সক্রিয়তা বা নিয়মিত যৌন মিলন করা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন যৌন সম্পর্কে না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
  • চাপ: দীর্ঘদিন যৌন সম্পর্কে না থাকলে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।
  • উদ্বেগ: যৌন ইচ্ছার অভাব বা যৌন সম্পর্কের সমস্যা মানসিক উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
  • সম্পর্কের সমস্যা: যৌন জীবনের অভাব দম্পতিদের মধ্যে দূরত্ব বাড়াতে পারে এবং সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
  • আত্মসম্মান কমে যাওয়া: যৌন সম্পর্কের সমস্যা আত্মসম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
মেয়েরা কত সময় মিলন করতে পারে?

মেয়েরা কত সময় মিলন করতে পারে, এই প্রশ্নের কোন নির্দিষ্ট উত্তর নেই। কারণ, একজন নারীর যৌন ইচ্ছা, শারীরিক সক্ষমতা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত বিষয়ের উপর নির্ভর করে কতক্ষণ তিনি যৌন মিলনে বা সহবাস করতে পারবেন।

যেসব বিষয়ের উপর একজন মেয়ের সহবাসের সক্ষমতা নির্ভর করেঃ

  • নারীর যৌন উত্তেজনা: নারীর যৌন উত্তেজনা পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি হলেঅ তাও একজন পুরুষের মতো হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায় না বরং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। তাই সক্ষমতার অনেকটাই নির্ভর করে নারীর যৌন উত্তেজনার উপর।
  • অর্গাজম: নারীর অর্গাজম পুরুষের তুলনায় ভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং একাধিকবার হতে পারে। পুরুষদের একবার অর্গাজম হলেই তাদের উত্তেজনা শেষ হয়ে গেলেও একজন মহিলার একাধিক বার অর্গাজমের পরেও একই উত্তেজনা দেখা যায়।
  • শারীরিক সক্ষমতা: স্বাস্থ্য, বয়স, এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে একজন নারীর যৌন সম্পর্কের সময়কাল পরিবর্তিত হতে পারে। বয়সন্ধিকালে সর্বাধিক উত্তেজনা থাকে।
  • মানসিক অবস্থা: মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা যৌন ইচ্ছাকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট।
  • সম্পর্ক: সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের গভীরতা এবং বিশ্বাস যৌন মিলনের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। 
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
স্বামী স্ত্রী কিভাবে মিলন করলে সন্তান হয়?

সহবাসের নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই যে এইভাবে সহবাস করলে সন্তান হবে আর এভাবে করলে হবে না। যেভাবেই সহবাস করা হোক না কেন মেয়েদের যোনি পথের ভিতরে শুক্রানু বা বীর্য প্রবেশ করলেই স্বাভাবিক ভাবে নিষিক্তকরণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। 

নিষিক্তকরণ বা সন্তান প্রসবের সাধারণ প্রক্রিয়া গুলো হলোঃ

  • শুক্রাণু ও ডিম্বাণু: পুরুষের শরীরে শুক্রাণু এবং মহিলার শরীরে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়।
  • সহবাস: সহবাসের সময় পুরুষের শুক্রাণু যোনির মধ্যে নিঃসৃত হয়।
  • নিষিক্তকরণ: শুক্রাণু যোনির মধ্য দিয়ে ডিম্বনালীতে যায় এবং ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে। নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ের দেয়ালে আটকে যায় এবং গর্ভধারণ হয়।
  • গর্ভধারণ: নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে ভ্রূণ গঠন হয় এবং গর্ভাশয়ে বেড়ে ওঠে।
  • জন্ম: প্রায় ৯ মাস পরে গর্ভবতী মহিলা সন্তান প্রসব করেন।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সহবাস কেন করতে হয়?

সহবাস বা যৌন মিলন মানুষের জীবনের একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধুমাত্র শারীরিক প্রয়োজন মেটানোর জন্যই নয়, মানসিক ও ইমোশোনাল সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। সহবাস কেন করতে হয় বা যৌন মিলন কেন করতে হবে এসব নিচে আলোচনা করা হলোঃ


  1. সহবাস মানুষকে আনন্দ ও তৃপ্তি দেয়। এটি এক ধরনের শারীরিক ও মানসিক শান্তির অনুভুতি। চরম শান্তি খুজে পাওয়া যায় সহবাসে।
  2. সহবাস দুজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় এবং সম্পর্ককে আরো মজবুত করে। বিয়ের পর স্বামী ও স্ত্রীর সব থেকে গুরুত্বপুর্ণ জিনিসটা গড়ে উঠে এই সহবাসের মাধ্যমে।
  3. সহবাস ভালোবাসা ও আস্থাকে আরো দৃঢ় করে। সহবাসের মাধ্যমে একে অপরকে বিশ্বাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
  4. সহবাসের প্রধান কারণ হল প্রজনন। এটি মানব জাতির বংশ বিস্তারের একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। 
  5. সহবাস মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি চাপ কমাতে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। 
  6. সহবাস শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হতে পারে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
পুরুষ পুরুষ মিলন করলে কি হয়?
দুইজন পুরুষ মানুষ একে অপরের সাথে যৌন মিলন করলে তাকে বলা হয় সমকামীতা যা একটি চরম ঘৃণিত কাজ। সমকামীতা পশ্চিমা দেশ গুলোতে বেশি দেখা যায়। পশ্চিমাদের অভ্যাসই হচ্ছে অপসংস্কৃতি চর্চা করা। এজন্য এটাকে তারা তাদের দেশে লিগ্যালি এলাও করে থাকে। 

শুধু পশ্চিমাদের দেশেই যে এসব সমকামীতা দেখা যায় তা নয়, এখন এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও এই সমকামীতা নানান ভাবে প্রমোট করা হচ্ছে। আমরাও সেই ফাদে তা দিচ্ছি। মিলন শুধু একজন পুরুষ আর একজন মহিলার মধ্যে করা যায় বৈধভাবে, এছাড়া যদি কোনো পুরুষ অন্য আরেকটি পুরুষের সাথে অথবা একজন মহিলা অন্য আরেকটি মহিলার সাথে মিলনে জড়ায় তাহলে সেটা সমকামীতা হয়ে যায়। আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে এটাকে অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে এবং সমকামীতা করলে তার শাস্তিও খুব জোড়ালো ভাবে বলা হয়েছে। 
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় কি?

কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। রক্ত পরিশোধন, বর্জ্য পদার্থ অপসারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, এবং শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষায় কিডনির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিডনিতে সমস্যা হলে তা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরও প্রভাব ফেলে। দুঃখজনকভাবে, কিডনির রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো স্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কিডনির সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।

কিডনির রোগের লক্ষণ:

যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনির রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না, তবুও কিছু লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি:

  • অবিরাম ক্লান্তি: কোনো কারণ ছাড়াই ক্রমাগত ক্লান্তি, দুর্বলতা অনুভব করা।
  • শরীর ফুলে যাওয়া: বিশেষ করে চোখের নীচে, পায়ে এবং হাতে ফোলাভাব।
  • ঘুমের ব্যাঘাত: শ্বাসকষ্টের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।
  • ত্বকের সমস্যা: চুলকানি, শুষ্ক ত্বক, ত্বকের রঙ পরিবর্তন, ফুসকুড়ি ইত্যাদি।
  • প্রস্রাবের পরিবর্তন: ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে রক্ত, ফেনাযুক্ত প্রস্রাব, প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন।
  • মাংসপেশিতে টান ধরা: ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতার কারণে মাংসপেশিতে টান ধরা।
  • খাবারে অরুচি: দীর্ঘদিন ধরে খাবারে অরুচি এবং বমি বমি ভাব।
  • ওজন কমে যাওয়া: অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওজন কমে যাওয়া।
  • পিঠে ব্যথা: কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপ: কিডনি ঠিকমত কাজ না করলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

এই লক্ষণগুলো অন্য কোনো রোগের লক্ষণও হতে পারে। তাই এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিডনির পরীক্ষা:

কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হল:

  • ACR (Albumin-to-Creatinine Ratio): মূত্রে অ্যালবুমিন ও ক্রিয়েটিনিনের অনুপাত পরীক্ষা করে কিডনির ক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়।
  • GFR (Glomerular Filtration Rate): রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি কতটা দক্ষতার সাথে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করতে পারছে তা মূল্যায়ন করা হয়।
  • রক্তে ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পরীক্ষা করে কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়।
  • মূত্র পরীক্ষা: মূত্রে রক্ত, প্রোটিন, ও অন্যান্য পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়।
  • আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যান: কিডনির আকার, আকৃতি ও অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য এই পরীক্ষাগুলো করা হয়।
  • কিডনি বায়োপসি: কিডনির টিস্যুর নমুনা পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়।

কিডনির রোগ প্রতিরোধের উপায়:

কিছু সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে কিডনির রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব:

  • উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা: এই দুটি রোগ কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ: ফল, সবজি, মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করা জরুরি।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত করে।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা কিডনির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান ও মদ্যপান কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • ব্যথানাশক ঔষধ সাবধানে গ্রহণ: দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ঔষধ গ্রহণ কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
  • অতিরিক্ত ভিটামিন সি এড়িয়ে চলা: অতিরিক্ত ভিটামিন সি কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে।
  • নিয়মিত চেকআপ: বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর নিয়মিত কিডনির চেকআপ করানো উচিত।

কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ জীবনযাপন ও নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে কিডনির রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না?

গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে সুস্থ শিশুর বিকাশের জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ অপরিহার্য। ফল, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই উপকারী। তবে, কিছু ফল গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা গর্ভাবস্থায় কোন ফলগুলি উপকারী এবং কোনগুলি এড়িয়ে চলা উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

গর্ভাবস্থায় উপকারী ফল:

  • কমলালেবু: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শিশুর হাড় ও দাঁতের বিকাশে সাহায্য করে।
  • আম: ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ, চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং শিশুর ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখে।
  • অ্যাভোকাডো: স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং ফোলেট সমৃদ্ধ, শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।
  • কলা: পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, মাংসপেশীর খিঁচুনি প্রতিরোধ করে এবং শক্তি প্রদান করে।
  • আপেল: ফাইবার সমৃদ্ধ, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং হজমে সাহায্য করে।
  • পেয়ারা: ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজমে সাহায্য করে।
  • ডালিম: আয়রন সমৃদ্ধ, রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে।
  • নাশপাতি: ফাইবার সমৃদ্ধ, হজমে সাহায্য করে।
  • বেদানা: ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ফোলেট সমৃদ্ধ।

গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলার ফল:

নিচে উল্লেখিত ফলগুলি গর্ভাবস্থায় সীমিত পরিমাণে বা একেবারেই খাওয়া উচিত নয়:

  • পেঁপে (বিশেষ করে কাঁচা): ল্যাটেক্স নামক একটি উপাদান থাকে যা জরায়ুর সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • আনারস: ব্রোমেলিন নামক একটি এনজাইম থাকে যা জরায়ুর নরম করে তুলতে পারে এবং প্রসবের আগেই প্রসব বেদনা শুরু করতে পারে।
  • আঙুর (অতিরিক্ত পরিমাণে): শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং রেসভেরাট্রল নামক একটি উপাদান থাকে যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।
  • খেজুর (অতিরিক্ত পরিমাণে): শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং জরায়ুর সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে।
  • তরমুজ (অতিরিক্ত পরিমাণে): শরীরের টক্সিন বের করে দিতে পারে, যা ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।

ক্যানে ভরা এবং হিমায়িত ফল:

ক্যানে ভরা ফলে প্রিজারভেটিভ থাকতে পারে, যা গর্ভবতী মহিলা এবং ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। হিমায়িত ফলের পুষ্টিগুণ তাজা ফলের তুলনায় কম থাকে। তাই, তাজা ফল খাওয়াই সবচেয়ে ভাল।

গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়ার টিপস:

  • ফল খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • ফলের খোসা ছাড়িয়ে খান।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কোন ফলই খাবেন না।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফল খান।
  • বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন যাতে আপনি এবং আপনার শিশু সব ধরনের পুষ্টি পায়।
  • যদি কোন ফল খাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভাবস্থায় সঠিক খাদ্যাভ্যাস আপনার এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্যগুলি মেনে চললে আপনি একটি সুস্থ গর্ভাবস্থা উপভোগ করতে পারবেন। তবে, কোনও সন্দেহ থাকলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।


বি.দ্র.: এই লেখাটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। এটি কোনও চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। গর্ভাবস্থায় কোনও সমস্যা হলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দাউদ কিভাবে ভালো হয়?

দাদ একটি সাধারণ ছত্রাক সংক্রমণ যা ত্বক, নখ এবং মাথার ত্বকে দেখা দেয়। এটি ডার্মাটোফাইট নামক ছত্রাকের কারণে হয়, যা উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে বৃদ্ধি পায়। দাদ অত্যন্ত সংক্রামক এবং সরাসরি সংস্পর্শ, দূষিত বস্তু, বা পোষা প্রাণী থেকে ছড়াতে পারে। এই নিবন্ধে, আমরা দাদের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

দাদের কারণ

ডার্মাটোফাইট ছত্রাক দাদের প্রধান কারণ। এই ছত্রাক ত্বকের কেরাটিন নামক প্রোটিনে বৃদ্ধি পায়। দাদ বিভিন্ন উপায়ে ছড়াতে পারে:

  • সরাসরি সংস্পর্শ: সংক্রমিত ব্যক্তি বা প্রাণীর সাথে সরাসরি সংস্পর্শে আসলে দাদ ছড়াতে পারে।
  • পরোক্ষ সংস্পর্শ: দূষিত জিনিসপত্র যেমন তোয়ালে, চিরুনি, পোশাক ইত্যাদি ব্যবহার করলে দাদ ছড়াতে পারে।
  • পোষা প্রাণী: কুকুর, বিড়াল, এবং অন্যান্য পোষা প্রাণী দাদ বহন করতে পারে এবং মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
  • দূষিত পরিবেশ: জিম, লকার রুম, এবং সুইমিং পুলের মতো স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় দাদ ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে।

দাদের লক্ষণ

দাদের লক্ষণগুলি শরীরের আক্রান্ত স্থানের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণগুলি হল:

  • লাল, বৃত্তাকার, উত্থিত, চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি, প্রায়ই একটি উত্থিত বর্ডার সহ
  • ত্বকের শুষ্কতা, খসখসে ভাব, বা ফাটা ফাটা ভাব
  • মাথার ত্বকে দাদ হলে চুল পড়ে যাওয়া এবং টাক পড়া
  • নখে দাদ হলে নখের পুরু, ভঙ্গুর, এবং বিকৃত হওয়া
  • কখনো কখনো ফোসকা বা পুঁজ ভর্তি ফোঁড়া

দাদের চিকিৎসা

দাদের চিকিৎসার জন্য সাধারণত অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এগুলি ক্রিম, মলম, পাউডার, স্প্রে, বা মৌখিক ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায়। চিকিৎসক সংক্রমণের তীব্রতা এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন। কিছু ক্ষেত্রে, ঘরোয়া প্রতিকারও উপকারী হতে পারে।

ঔষধ

  • টপিক্যাল অ্যান্টিফাঙ্গাল: ক্লট্রিমাজল, মাইকোনাজোল, টার্বিনাফিন ইত্যাদি ক্রিম, মলম বা স্প্রে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে হয়।
  • মৌখিক অ্যান্টিফাঙ্গাল: গুরুতর বা ব্যাপক সংক্রমণের জন্য, ডাক্তার মৌখিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ যেমন গ্রিসিওফুলভিন, টার্বিনাফিন, ইট্রাকোনাজল ইত্যাদি লিখে দিতে পারেন।

ঘরোয়া প্রতিকার

কিছু ঘরোয়া প্রতিকার দাদের লক্ষণগুলি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এগুলি একমাত্র চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ।

  • চা গাছের তেল: এর অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণাবলী দাদ ছত্রাকের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: এর অ্যাসিডিক প্রকৃতি ছত্রাকের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে।
  • হলুদ: এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণাবলী ত্বকের প্রদাহ এবং সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
  • নারকেল তেল: এর ময়েশ্চারাইজিং এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণাবলী ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
  • রসুন: রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ আছে যার শক্তিশালী অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ আছে।

দাদ প্রতিরোধ

দাদ প্রতিরোধের জন্য কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি:

  • ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা: নিয়মিত হাত ধোয়া, বিশেষ করে প্রাণী বা দূষিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর।
  • ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ভাগ করা এড়িয়ে চলা: তোয়ালে, চিরুনি, পোশাক ইত্যাদি অন্যদের সাথে ভাগ করবেন না।
  • পোষা প্রাণীর দাদ চিকিৎসা করা: আপনার পোষা প্রাণীর যদি দাদ থাকে, তবে তাদের চিকিৎসা করুন এবং তাদের সাথে অতিরিক্ত সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
  • পরিবেশ পরিষ্কার রাখা: জিম, লকার রুম, এবং সুইমিং পুলের মতো জায়গাগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
  • স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলা: স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে দাদ ছত্রাকের বৃদ্ধি বেশি হয়। তাই এমন পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দাদ সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

দাদ একটি সাধারণ ত্বকের সংক্রমণ যা সঠিক চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদি আপনার মনে হয় আপনার দাদ হয়েছে, তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন এবং সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়?

মরিয়ম ফুল, একটি রহস্যময় উদ্ভিদ যা শুষ্ক মরুভূমিতে জন্মায় এবং বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পায়। এই ফুলের অদ্ভুত জীবনচক্র অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। কিন্তু এই বিস্ময়ের সাথে জড়িয়ে আছে একটি মিথ - মরিয়ম ফুল সন্তান প্রাপ্তিতে সহায়ক। এই ধারণাটি কতটা বাস্তবসম্মত, আজ আমরা তা বিশ্লেষণ করবো।

মরিয়ম ফুল: একটি পরিচিতি

মরিয়ম ফুল (Anastatica hierochuntica) মূলত মরু অঞ্চলে জন্মায়। এর বিশেষত্ব হলো শুকনো অবস্থায় এটি নিজেকে সঙ্কুচিত করে একটি গোলকের মতো আকার ধারণ করে। বৃষ্টি পেলে এটি আবার প্রসারিত হয় এবং তাজা হয়ে ওঠে। এই কারণে একে "রিসারেকশন প্ল্যান্ট" বলা হয়। অনেক মানুষ হজ্ব থেকে এই ফুল নিয়ে আসেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহার করেন।

মিথ: মরিয়ম ফুল এবং সন্তান প্রাপ্তি

অনেক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয় যে মরিয়ম ফুলের পাপড়ি পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি পান করলে বা প্রসব বেদনার সময় ঘরে রাখলে প্রসব বেদনা কমে যায় এবং সন্তান প্রাপ্তি সহজ হয়। কিছু মানুষ আবার বিশ্বাস করেন যে এই ফুল বাড়িতে রাখলে সন্তান লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

বাস্তবতা: বিজ্ঞান কী বলে?

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মরিয়ম ফুল ও সন্তান প্রাপ্তির মধ্যে কোনো সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি। সন্তান প্রাপ্তি একটি জটিল জৈবিক প্রক্রিয়া, যা অনেক কারণের উপর নির্ভরশীল। পুরুষ ও মহিলার প্রজনন স্বাস্থ্য, হরমোনের ভারসাম্য, জীবনযাত্রা ইত্যাদি কারণ এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। মরিয়ম ফুলের কোনো রাসায়নিক গুণ নেই যা প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

সন্তান প্রাপ্তিতে সমস্যা হলে কী করবেন?

যদি আপনার সন্তান প্রাপ্তিতে সমস্যা হয়, তাহলে মিথ বা অলৌকিক জিনিসের পেছনে না দৌড়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনার সমস্যার কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা প্রদান করবেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য অনেক কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে। IVF, IUI ইত্যাদি পদ্ধতি অনেক দম্পতিকে সন্তান লাভের স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করেছে।

সতর্কতা: মিথ থেকে সাবধান

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে অনেক ভুল তথ্য প্রচারিত হয়। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন। অনৈতিক চিকিৎসক বা কবিরাজদের ফাঁদে পড়বেন না। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্য একটি মূল্যবান সম্পদ। তাই এ বিষয়ে কোনো রকম ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়।

শেষ কথা

মরিয়ম ফুল একটি আকর্ষণীয় উদ্ভিদ, কিন্তু এর সাথে সন্তান প্রাপ্তির কোন সম্পর্ক নেই। সন্তান প্রাপ্তির বিষয়টি বিজ্ঞান নির্ভর এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ই এ বিষয়ে সর্বোত্তম পরামর্শ দিতে পারবেন। মিথ ও ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া জরুরি। আর সবসময় মনে রাখবেন, সুস্থ শরীর ও মন ই সুখী জীবনের মূল মন্ত্র।


এই লেখাটি কেবলমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লিখিত এবং এটি কোনো চিকিৎসা পরামর্শ নয়। কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো?

“না ঘুমিয়ে ঘুমাবো” – এই বাক্যটি আপাতদৃষ্টিতে অদ্ভুত মনে হলেও এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেকের অজানা এক যন্ত্রণার ইঙ্গিত। অনেকেরই রাতে বিছানায় শুয়েও ঘুম আসে না। ক্লান্ত শরীর, কিন্তু মন অস্থির। এই অনিদ্রার কারণে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তাই ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। এই লেখায় আমরা ঘুমের রহস্য উন্মোচন করবো এবং কীভাবে সুন্দর ঘুমের অধিকারী হওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবো।

ঘুমের গুরুত্ব

ঘুম কেবল শারীরিক বিশ্রাম নয়, এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এবং সার্বিকভাবে জীবনের গুণগত মান উন্নত করে।

  • শারীরিক সুস্থতা: পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের কোষগুলোকে পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য: ঘুম মানসিক চাপ কমাতে ও মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: ঘুমের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
  • সৃজনশীলতা: পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করতে সাহায্য করে।

ঘুমের সমস্যার কারণ

ঘুমের সমস্যার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হলো:

  • অনিয়মিত জীবনযাপন: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে না যাওয়া এবং ওঠা না।
  • মানসিক চাপ: চিন্তা, উদ্বেগ, এবং বিষণ্ণতা।
  • খাদ্যাভ্যাস: ঘুমের আগে ভারী খাবার খাওয়া, ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় পান করা।
  • পরিবেশগত কারণ: শোবার ঘরে অতিরিক্ত আলো বা শব্দ।
  • ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
  • শারীরিক ব্যাধি: কিছু শারীরিক ব্যাধি ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া।

ভালো ঘুমের জন্য কিছু টিপস

ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর পরামর্শ নীচে উল্লেখ করা হলো:

  1. নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি মেনে চলুন: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং উঠুন, সপ্তাহান্তেও।
  2. শোবার ঘরকে আরামদায়ক করুন: শোবার ঘর অন্ধকার, শান্ত এবং ঠান্ডা রাখুন। আরামদায়ক বিছানা ও বালিশ ব্যবহার করুন।
  3. ঘুমের আগে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন: ঘুমের কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে হালকা খাবার খান।
  4. ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পরিহার করুন: ঘুমের কমপক্ষে ৪-৬ ঘণ্টা আগে ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করা বন্ধ করে দিন।
  5. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: তবে ঘুমের ঠিক আগে ব্যায়াম করা উচিত নয়।
  6. মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি শোবার ঘরে আনবেন না: এই যন্ত্রগুলো থেকে নির্গত নীল আলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমের কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে এগুলো ব্যবহার বন্ধ করে দিন।
  7. রিলাক্সেশন টেকনিক অনুশীলন করুন: ঘুমের আগে যোগা, ধ্যান, বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। একটি উষ্ণ গোসল করাও সাহায্য করতে পারে।
  8. ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট একটি রুটিন তৈরি করুন: ঘুমের আগে বই পড়া, গান শোনা, বা উষ্ণ দুধ পান করা একটি রুটিন হিসেবে তৈরি করুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।
  9. আলো থেরাপি: সকালে সূর্যের আলোতে কিছুটা সময় কাটানো আপনার শরীরের সাধারণ ঘুম-জাগরণ চক্র (circadian rhythm) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  10. পেশাদার সাহায্য নেওয়া: যদি ঘুমের সমস্যা গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে একজন ডাক্তার বা ঘুম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ঘুম আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। পর্যাপ্ত এবং গুণগত মানের ঘুম আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরোক্ত টিপসগুলো মেনে চলে আপনি আপনার ঘুমের মান উন্নত করতে পারেন এবং একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন। ঘুমের সমস্যা যদি গুরুতর হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
Algin Tablet কেন খায়?

অ্যালজিন অনেক ধরনের ওষুধে ব্যবহৃত হয় এবং বিশেষ করে পেটের সমস্যা নিরাময়ে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।


অ্যালজিন ট্যাবলেট কেন খাওয়া হয়, তা জানতে হলে এর কাজ জানা জরুরি:

  • অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং এসিডিটি কমাতে: অ্যালজিন পেটের উপর এক ধরনের জেলের মতো আস্তরণ তৈরি করে। এই আস্তরণটি পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালীতে উঠে আসতে বাধা দেয় এবং এভাবে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং এসিডিটির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
  • গ্যাস কমাতে: অ্যালজিন পেটে গ্যাসের ফোঁটাগুলোকে একত্রিত করে বড় ফোঁটা তৈরি করে। এতে গ্যাস বের হয়ে যাওয়া সহজ হয় এবং পেট ফাঁপা ভাব কমে।
  • পেটের আলসারের উপসর্গ কমাতে: পেটের আলসারের কারণে যে ব্যথা এবং অস্বস্তি হয়, অ্যালজিন তা কমাতে সাহায্য করতে পারে।


কখন অ্যালজিন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত?

  • অ্যাসিড রিফ্লাক্স: যাদের ঘন ঘন অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়, তারা খাবার খাওয়ার পর অ্যালজিন ট্যাবলেট খেতে পারেন।
  • গ্যাস: খাবার খাওয়ার পর বা গ্যাস হওয়ার সময় অ্যালজিন ট্যাবলেট খাওয়া যায়।
  • পেটের আলসার: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পেটের আলসারের উপসর্গ কমাতে অ্যালজিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।


সতর্কতা: অ্যালজিন ট্যাবলেট খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

1 পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ডাউন ইস্টিচ কি?

ডাউন ইস্টিচ বা ডাউন সিন্ড্রোম একটি জেনেটিক অবস্থা যা জন্মের সময়ই দেখা যায়। এটি মানুষের ২১ নম্বর ক্রোমোসোমের একটি অতিরিক্ত কপি থাকার কারণে হয়। এই অতিরিক্ত ক্রোমোসোমের কারণে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপর প্রভাব পড়তে পারে।


ডাউন সিন্ড্রোমের লক্ষণঃ

  • শারীরিক বৈশিষ্ট্য: ছোট গোলাকার মাথা, চ্যাপ্টা মুখ, ছোট কান, একক ফালিযুক্ত হাত, ছোট আঙুল, এবং পায়ের তালুতে একটি অতিরিক্ত ফালি।
  • মানসিক বিকাশ: শেখার গতি ধীর হতে পারে, ভাষা দক্ষতা কম থাকতে পারে, এবং সামাজিক দক্ষতা অর্জন করতে সমস্যা হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: হৃদরোগ, অন্ত্রের সমস্যা, থাইরয়েড সমস্যা, এবং দৃষ্টি ও শ্রবণ সমস্যা হতে পারে।


ডাউন সিন্ড্রোমের চিকিৎসাঃ

ডাউন সিন্ড্রোমের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে, বিভিন্ন ধরনের থেরাপি এবং চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক করা সম্ভব।

  • শারীরিক থেরাপি: শারীরিক বিকাশকে উন্নত করতে বিভিন্ন থেরাপি দিতে হয়।
  • ভাষা থেরাপি: ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি করতে মুখের জন্য বা জড়তা কাটানোর জন্য থেরাপি দিতে হয়।
  • সামাজিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ: সামাজিক দক্ষতা অর্জন করতে বিভিন্ন ধরণের কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়।
  • অন্যান্য চিকিৎসা: হৃদরোগ, অন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর জন্য ভালো চিকিৎসা দেওয়া।
একটা প্রশ্ন করে নিজে জানুন অন্যকে জানতে সহায়তা করুন
সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। এখানে আপনি আপনার বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগতসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান চেয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগীতা করতে পারবেন। আজই আমাদের সাথে শুরু করে দিন আপনার পথচলা।
...