সাধারণ ডট নেটে আপনাকে স্বাগতম! রেজিষ্ট্রেশন করে আজই আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে যান...

বাংলাদেশ - প্রশ্ন উত্তর

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
জয়নুল আবেদীনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম গুলোর নাম কি কি?

জয়নুল আবেদীনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম গুলোর নাম হলোঃ

  1. সংগ্রাম
  2. ম্যাডোনা-৪৩
  3. মনপুরা-৭০
  4. নবান্ন
  5. সাওতাল রমনী
এছাড়া তিনি দুর্ভিক্ষের ছবি একে ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠা করেন কে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠা করেন জয়নুল আবেদীন।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
খাবার স্যালাইনের আবিষ্কারক বা উদ্ভাবক কে?

খাবার স্যালাইনের (ওরস্যালাইন) আবিষ্কারক বা উদ্ভাবক হলেন বাংলাদেশী ডা. রফিকুল ইসলাম।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
হাসন রাজা কোথাকার জমিদার ছিলেন?

হাসন রাজা সিলেটের জমিদার ছিলেন।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
লালন শাহ - এর প্রথম গান কোথায় প্রকাশিত হয়?

লালন শাহ - এর প্রথম গান প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবাসী পত্রিকায়

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি কে প্রতিষ্ঠা করেন?

ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন মাওলানা আব্দুল হামিদ ভাসানী।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কত সালে মৃত্য বরণ করেন?

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালে মৃত্য বরণ করেন।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের রাজনৈতিক দলের নাম কি ছিলো?

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের রাজনৈতিক দলের নাম কি ছিলো কৃষক প্রজাপার্টি।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিখ্যাত গ্রুন্থগুলোর নাম কি?

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিখ্যাত গ্রুন্থগুলোর নাম হলোঃ

  • Social Business.
  • Banker to the poor.
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ড. মুহাম্মদ ইউনুস কত সালে নোবেল পুরুষ্কার পান?

ড. মুহাম্মদ ইউনুস ২০০৬ সালে নোবেল পুরুষ্কার পান।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
তিতুমীর বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেছিলেন কেন?

তিতুমীর। নামটি উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক অকুতোভয়, স্বাধীনতা-কামী বিপ্লবীর প্রতিচ্ছবি। মীর নিসার আলী, যিনি তিতুমীর নামেই ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন, তিনি শুধু একজন বিপ্লবী নন, তিনি একজন দার্শনিক, একজন সংগঠক, একজন কৌশলী। তাঁর বাঁশের কেল্লা শুধুমাত্র একটি প্রতিরক্ষা স্থাপনা নয়, এটি ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক, বাঙালির স্বাধীনতা আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। এই লেখায় আমরা তিতুমীরের জীবন, তাঁর আদর্শ, এবং বাঁশের কেল্লা নির্মাণের পেছনের কারণ ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ করব।

জমিদার ও ব্রিটিশ শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম

ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলা ছিল জমিদার ও ব্রিটিশ শোষণের কবলে। একদিকে জমিদারদের অত্যাচার, অন্যদিকে ব্রিটিশদের রাজস্ব নীতি কৃষকদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। এই অবস্থায় তিতুমীর আবির্ভূত হন এক রক্ষাকর্তা হিসেবে। তিনি শুধু প্রতিবাদই করেননি, তিনি সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি গড়ে তোলেন এক সুশিক্ষিত ও সুসংগঠিত বাহিনী। তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে তিনি নির্মাণ করেন বাঁশের কেল্লা।

বাঁশের কেল্লা: প্রতীকী ও কৌশলগত তাৎপর্য

কেন বাঁশ? এই প্রশ্ন অনেকেই করেন। তার উত্তর খুঁজতে হবে তৎকালীন সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে। বাঁশ ছিল সহজলভ্য, সস্তা এবং দ্রুত ব্যবহারযোগ্য একটি উপাদান। কিন্তু বাঁশের কেল্লা শুধু প্রতিরক্ষার জন্য নিরির্মাণ করা হয়নি। এর ছিল গভীর প্রতীকী তাৎপর্য। বাঁশ বাঙালির জীবনের সাথে মিশে আছে। বাঁশ বাঙালির সংস্কৃতির একটি অংশ। তাই বাঁশের কেল্লা ছিল বাঙালির ঐক্য, শক্তি এবং প্রতিরোধের প্রতীক। এটি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিল, তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করেছিল।

কৌশলগত দিক থেকেও বাঁশের কেল্লার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কেল্লার চারপাশে খাল খনন করে জল ভরে রাখা হত। এতে শত্রুর প্রবেশ দুরূহ হয়ে পড়ত। কেল্লার ভেতরে ছিল অস্ত্রশস্ত্র এবং খাদ্য সামগ্রীর ভান্ডার। একটি সু-সংগঠিত রহস্য টানেল ব্যবস্থা ও ছিল, যার মাধ্যমে কেল্লার বাইরে যাওয়া ও আসা করা যেত। এই কৌশলগত ব্যবস্থা তিতুমীরের বাহিনীকে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল।

বাঁশের কেল্লা ও স্বাধীনতা আন্দোলন

তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা কেবল একটি দুর্গ নয়, এটি ছিল একটি বিপ্লবী কেন্দ্র। এখান থেকেই তিনি চালিয়ে যান তাঁর স্বাধীনতা আন্দোলন। তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ছিল এক প্রেরণার উৎস। এই কেল্লা থেকে প্রচারিত হত বিপ্লবের বাণী। এই কেল্লা ছিল এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেখানে বিপ্লবীরা প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের তৈরি করতেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। তিতুমীরের আদর্শ এবং ত্যাগ পরবর্তী কালের বিপ্লবীদের জন্য হয়ে ওঠে প্রেরণার উৎস। তার বাঁশের কেল্লা এক প্রতীক হিসেবে স্থায়ী হয়ে থাকে বাঙালির মনে।

বাঁশের কেল্লার পতন ও তিতুমীরের শাহাদাৎ

ব্রিটিশ শাসকরা তিতুমীরের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারা তিতুমীরকে দমন করার জন্য প্রেরণ করে বিশাল সৈন্য বাহিনী। ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর ঘটে ঐতিহাসিক যুদ্ধ। ব্রিটিশদের আধুনিক অস্ত্রের সামনে তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা টিকতে পারেনি। তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হন। যদিও বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হয়ে গেছে, তবুও তিতুমীরের আদর্শ এবং ত্যাগ আজও স্মরণীয়।


তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা শুধু একটি দুর্গ নয়, এটি ছিল একটি প্রতীক, একটি প্রত্যয়। এটি ছিল বাঙালির স্বাধীনতা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তিতুমীরের জীবন এবং তাঁর বাঁশের কেল্লা আজও প্রেরণা যোগায় আমাদের। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হবে অকুতোভয় হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে। তিতুমীর আমাদের শিখিয়েছেন যে প্রতিরোধের আগুন জ্বালাতে পারে যেকোনো উপাদান দিয়ে, শুধু প্রয়োজন দৃঢ় প্রত্যয় এবং অদম্য সাহস।


এই লেখায় আমরা চেষ্টা করেছি তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার ঐতিহাসিক এবং প্রতীকী তাৎপর্য উপস্থাপন করতে। আমরা আশা করি এই লেখা পাঠকদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ এবং স্বাধীনতা চেতনা জাগ্রত করবে।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিপুল শরণার্থী কোথায় এবং কিভাবে আশ্রয় পেয়েছিল?

১৯৭১ সাল, বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক রক্তাক্ত অধ্যায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট--এসবের মুখে টিকতে না পেরে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হাতে নিয়ে দেশ ত্যাগ করে শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয়। এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর দুঃখ-দুর্দশা, সংগ্রাম এবং বেঁচে থাকার জন্য তাদের অবিরাম প্রচেষ্টা ছিল মুক্তিযুদ্ধের এক করুণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

শরণার্থী প্রবাহ এবং আশ্রয়স্থল

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় শরণার্থী প্রবাহ। এপ্রিল মাস থেকেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয় বাঙালি শরণার্থীদের অন্তহীন ঢল। পশ্চিমবঙ্গ ছিল এই শরণার্থী প্রবাহের প্রধান গন্তব্যস্থল। প্রায় ৭৪ লাখ শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। এছাড়া ত্রিপুরায় ১৪ লাখ, মেঘালয়ে ৬ লাখ, আসামে ৩ লাখ শরণার্থী আশ্রয় গ্রহণ করে। অন্যান্য রাজ্যেও বিক্ষিপ্তভাবে শরণার্থীরা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি কিছু শরণার্থী মায়ানমারেও আশ্রয় নেয়, যদিও সেখানে তাদের সাথে মানবিক ব্যবহার করা হয়নি।

শরণার্থী শিবিরের জীবন: এক করুণ চিত্র

শরণার্থী শিবিরের জীবন ছিল অসহনীয়। রেডক্রস, ভারত সরকার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাঁবু তৈরি করে দিলেও, তা সকল শরণার্থীর জন্য যথেষ্ট ছিল না। স্কুল, কলেজ, ছাত্রাবাস খালি করে শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হলেও স্থানের তীব্র অভাব ছিল। অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও, অনেকে আবার খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাত।

খাদ্য, পানি, ওষুধ, পয়ঃনিষ্কাশন--সবকিছুরই তীব্র সংকট ছিল। কলেরা, আমাশয়, ডায়রিয়া এবং চর্মরোগের মতো বিভিন্ন রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদের সৎকারের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক মৃতদেহ খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকত, যা শকুন, শেয়ালের খাদ্য হত। এ ছিল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য।

শিশু এবং নারীদের দুর্ভোগ

শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিশু এবং নারীরা ছিল সবচেয়ে বেশি অসহায়। অপুষ্টিতে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়। নারীরা ছিল ধর্ষণের শিকার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে। অনেক নারী পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধর্ষিত হন এবং সামাজিক ভাবে লাঞ্ছিত হন।

ভারত সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা

ভারত সরকার শরণার্থীদের আশ্রয়, খাদ্য, ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও শরণার্থীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শরণার্থী সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের অবদান

মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের অবদান ছিল অপরিসীম। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করতেন। অনেকে আবার মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহণ করেন। শরণার্থী শিবিরগুলো ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়স্থল।

স্বাধীনতার পর শরণার্থীদের ফিরে আসা

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক শরণার্থী দেশে ফিরে আসেন। তবে অনেকে আবার ভারতেই থেকে যান। যারা ফিরে আসেন, তাদের অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে ছিলেন, সম্পত্তি লুট হয়ে ছিল। তারা পুনর্বাসনের জন্য সরকারের সাহায্য পেয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীদের কাহিনী হলো এক করুণ কিন্তু অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী। তাদের দুঃখ-দুর্দশা, সংগ্রাম এবং বলিদান আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতার মূল্য কত বড়।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই?

স্বাধীনতার পর থেকেই বিদ্যুৎ সঙ্কট বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি বেদনাদায়ক সত্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পায়রায় নির্মিত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র – পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই মেগা প্রকল্প বাংলাদেশের শক্তি খাতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।


পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র: এক নজরে

  • অবস্থান: পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পায়রা
  • উৎপাদন ক্ষমতা: ১৩২০ মেগাওয়াট (২ টি ইউনিট)
  • প্রযুক্তি: আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল
  • জ্বালানি: কয়লা
  • প্রকল্প ব্যয়: প্রায় ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলার
  • কার্যক্রম শুরু:
  • প্রথম ইউনিট: ১২ জানুয়ারি ২০২০
  • দ্বিতীয় ইউনিট: ২১ মার্চ ২০২২ (আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন)

প্রকল্পের পটভূমি ও গুরুত্ব

২০১৪ সালে, বাংলাদেশের নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড(এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের চায়না মেশিনারিজ কোম্পানি (সিএমসি) এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনবে। এছাড়াও, এই প্রকল্প বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের একটি উজ্জ্বল নমুনা।


পরিবেশগত প্রভাব

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণত পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি তৈরি করে। তবে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, কেন্দ্রটিতে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক ধোঁয়া শোধনাগার এবং ছাই পরিচালনা ব্যবস্থা। সরকার বলছে, পরিবেশের ক্ষতি কমানোর জন্য সকল রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগ। এই প্রকল্প সফল হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

সম্ভাবনা:

  • দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন
  • শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ
  • কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি
  • বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব

চ্যালেঞ্জ:

  • পরিবেশগত ঝুঁকি ও স্থানীয় পরিবেশের ক্ষতি
  • কয়লা আমদানি নির্ভরতা এবং বৈশ্বিক বাজারের উৎসমায় অস্থিতিশীলতা
  • বড় পরিসরে ছাই পরিচালনার প্রয়োজন এবং সেই ছাই সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারলে পরিবেশগত ঝুঁকি বৃদ্ধি
  • স্থানীয় মানুষের জীবিকার উপর নেতিবাচক প্রভাব

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের শক্তি খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু বিতর্কিত পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি উভয়ই বিবেচনা করে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশগত ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এবং সাথে সাথে স্থানীয় মানুষের জীবিকার উন্নয়নে আরও বেশি বেশি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র যেন সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে সে জন্য সকল পক্ষের সচেতনতা এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।

```

1 পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বিভিন্ন শাসনামলে বাংলায় রাজধানী কি ছিলো?

বিভিন্ন শাসনামলে বাংলায় রাজধানী নিচে উল্লেখ করা হলোঃ 

শাসনামল / স্থান রাজধানী
পুন্ড্র জনপদ পুন্ড্র নগর
মুঘল আমল সোনারগাও
ফখ্রুদ্দিন মোবারক শাহ  সোনারাগাও 
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ  সোনারগাও
প্রাচীন বাংলা মহাস্থানগড়
বিজয় সেন নদীয়া
লক্ষ্মণ সেন বিক্রমপুর
বখতিয়ার খলজি লক্ষ্ণৌ
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ একডালা
সুলতানী আমল (শুরুতে)  সোনারগাও
সুলতানী আমল (শেষে) গৌড়
মৌর্য ও গুপ্ত বংশ গৌড়
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত পাটলিপুত্র
বর্মদেব বিক্রমপুর
আলীবর্দী খা মুর্শিদাবাদ
শশাংক কর্ণসুবর্ণ
মুঘল আমলে সুবে বাংলা ঢাকা
হর্ষবর্ধণ কনৌজ
মৌর্যযুগ/পুন্ড্র জনপদ পুন্ড্রনগর (বাংলার প্রাদেশিক)
গুপ্ত রাজবংশ বিদিশা


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
আর্যদের ধর্ম ও ধর্ম গ্রন্থের নাম কি?

আর্যদের ধর্মের নাম সনাতন ও ধর্মীয় গ্রন্থের নাম বেদ

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থের লেখক কে?

বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থের লেখক হলেনঃ ড. নীহার রঞ্জন রায়।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সর্বপ্রথম 'বঙ্গ' শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায় কোথায়?

সর্বপ্রথম 'বঙ্গ' শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায় ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বাংলা ভাষা কোন ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত?

বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দেশবাচক শব্দ হিসেবে 'বাংলা' প্রথম ব্যবহৃত হয় কোন গ্রন্থে?

দেশবাচক শব্দ হিসেবে 'বাংলা' প্রথম ব্যবহৃত হয় আবুল ফজল রচিত আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বাংলাদেশে বর্তমানে বসবাসকারী উপজাতিরা কোন প্রকৃতির?

বাংলাদেশে বর্তমানে বসবাসকারী উপজাতিরা মঙ্গোলীয় প্রকৃতির।

আরো দেখতে, এই বিভাগের সকল প্রশ্ন দেখুন
সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। এখানে আপনি আপনার বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগতসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান চেয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগীতা করতে পারবেন। আজই আমাদের সাথে শুরু করে দিন আপনার পথচলা।
...