সাধারণ ডট নেটে আপনাকে স্বাগতম! রেজিষ্ট্রেশন করে আজই আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে যান...

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল - প্রশ্ন উত্তর

1 পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দশমিক কে আবিষ্কার করেন?

আমরা প্রাত্যহিক জীবনে যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি তা হল দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দশটি মৌলিক অঙ্ক (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯) ব্যবহার করে যেকোনো সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। দশমিক পদ্ধতিকে "বেস-টেন" পদ্ধতিও বলা হয় কারণ এখানে প্রতিটি স্থানীয় মান তার ডানদিকের স্থানীয় মানের দশ গুণ।


ইতিহাস

দশমিক পদ্ধতির উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা না গেলেও ধারণা করা হয়, মানুষের হাতে দশটি আঙুল থাকার কারণে তারা প্রথমে গণনা করার জন্য আঙুল ব্যবহার করতো। এই দশভিত্তিক গণনা পদ্ধতি পরবর্তীতে বিভিন্ন সভ্যতায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রাচীন মিশরীয়, ব্রাহ্মী, গ্রিক, হিব্রু, রোমান এবং চীনা সভ্যতায় দশ এবং এর সূচক ব্যবহার করে সংখ্যা প্রকাশ করা হতো।

তবে, এই প্রাচীন পদ্ধতিগুলোতে বড় সংখ্যা প্রকাশ করা এবং গাণিতিক ক্রিয়া সম্পাদন করা বেশ জটিল ছিল। এই সমস্যার সমাধান হয় "হিন্দু-আরবি" সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কারের মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে শূন্য সহ দশটি মৌলিক অঙ্ক ব্যবহার করে যেকোনো সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে ভগ্নাংশ প্রকাশের জন্য এই পদ্ধতিতে দশমিক চিহ্ন (.) যুক্ত করা হয় এবং এভাবেই আধুনিক দশমিক পদ্ধতির উদ্ভব হয়। 


দশমিক ও দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি তাহলে কে আবিষ্কার করেন?

দশমিক আবিষ্কার করেন ভারতের আর্যভট্ট আবার অনেকে মনে করেন পিথাগোরাস। এর সঠিক জবার পাওয়া খুবই মুশকিল।


ব্যবহার

দশমিক পদ্ধতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।

  • গণিত: গণিতে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ সহ সকল গাণিতিক ক্রিয়ায় দশমিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
  • বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পরিমাপ, গণনা এবং তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দশমিক পদ্ধতি অপরিহার্য।
  • প্রযুক্তি: কম্পিউটার, মোবাইল ফোন সহ সকল ধরণের ডিজিটাল ডিভাইস দ্বিমিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করলেও, মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য এই ডিভাইসগুলো দশমিক পদ্ধতি ব্যবহার করে।
  • ব্যবসা-বাণিজ্য: আর্থিক লেনদেন, হিসাবরক্ষণ, মূল্য নির্ধারণ সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রেই দশমিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

তাৎপর্য

দশমিক পদ্ধতি একটি সরল, কার্যকর এবং সর্বজনীন সংখ্যা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি গণিত, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দশমিক পদ্ধতির সরলতার কারণে এটি সহজেই শেখা এবং ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, এই পদ্ধতিতে বড় সংখ্যা এবং ভগ্নাংশ সহজেই প্রকাশ করা যায় এবং গাণিতিক ক্রিয়া সম্পাদন করা অনেক সহজ।


দশমিক পদ্ধতি মানব সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন। এই পদ্ধতি আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ এবং গতিশীল করে তুলেছে। ভবিষ্যতেও এই পদ্ধতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

```

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
শূন্যের ব্যবহার কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল?

মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে সংখ্যার ব্যবহার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। আর এই সংখ্যার জগতে শূন্যের আবির্ভাব এক বিস্ময়কর ঘটনা। শূন্য, যা ‘কিছু না’ বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও, গণিতের জগতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই নিবন্ধে আমরা শূন্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস, এর পেছনের রহস্য, বিতর্ক এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করবো।


প্রাচীন সভ্যতায় শূন্যের ধারণা

শূন্যের ধারণা একদিনে আসেনি। বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতায় এর আভাস পাওয়া যায়। ৪০০০-৫০০০ বছর আগে সুমেরীয়রা তাদের গণনা পদ্ধতিতে ‘খালি জায়গা’ হিসেবে শূন্যের ব্যবহার করত। পরবর্তীতে ব্যাবিলনীয়রা দুটি কোণাকৃতির চিহ্ন (′′) ব্যবহার করে শূন্যকে চিহ্নিত করে।

তবে, এই সকল সভ্যতায় শূন্য কেবল ‘স্থানধারক’ হিসেবে ব্যবহৃত হত, স্বতন্ত্র সংখ্যা হিসেবে নয়। মিশরীয়রা, যারা জ্যামিতি ও জ্যোতির্বিদ্যায় বেশ পারদর্শী ছিল, তারাও শূন্যকে অস্বীকার করত।


ভারতে শূন্যের উত্থান

বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতা শূন্যকে অস্বীকার করলেও, ভারতীয় উপমহাদেশে এর বিকাশ ঘটে ভিন্নভাবে। ঋগ্বেদে ‘শূন্য’ শব্দের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বৌদ্ধ দর্শনেও মনকে ‘শূন্য’ করার ধারণার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

খ্রিস্টীয় ৪৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্ট তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আর্যভটীয়’ তে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান, গতি ইত্যাদি বর্ণনা করতে গিয়ে শূন্যের ধারণা ব্যবহার করেন।

পরবর্তীতে, ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রহ্মগুপ্ত তার গ্রন্থ ‘ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত’ -এ শূন্যকে একটি স্বাধীন সংখ্যা হিসেবে স্থান দেন এবং এর গাণিতিক ব্যবহার ব্যাখ্যা করেন।


শূন্যের বিস্তার

আরব বণিকদের মাধ্যমে ৮ম শতাব্দীতে শূন্য আরব বিশ্বে প্রবেশ করে। আরব গণিতবিদ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজমি শূন্যের ধারণাকে আরও উন্নত করেন।

১২শ শতাব্দীতে ইতালীয় গণিতবিদ ফিবোনাচ্চি আরবদের কাছ থেকে শূন্যের ধারণা ইউরোপে প্রবর্তন করেন।


শূন্যের গুরুত্ব

শূন্যের আবিষ্কার গণিতের জগতে এক যুগান্তকারী ঘটনা।

  • এটি দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন করে।
  • এর ফলে বীজগণিত, ক্যালকুলাস ইত্যাদি বিষয়ের বিকাশ ঘটে।
  • কম্পিউটার বিজ্ঞানে বাইনারি পদ্ধতি (০, ১) শূন্যের উপর নির্ভরশীল।

শূন্যের আবিষ্কার মানুষের চিন্তা-ভাবনার এক বিরাট পরিবর্তন আনে। এই "কিছু না" থেকে "কিছু" তৈরির ধারণা মানুষের সৃজনশীলতার এক অনন্য উদাহরণ।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ভূমিকম্প কেন হয়?

ভূমিকম্প, প্রকৃতির এক ভয়াবহ থাবা, যা মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে সভ্যতার স্তুপ। ভূ-অভ্যন্তরে যখন বিপুল পরিমাণ শক্তি হঠাৎ মুক্তি পায়, তখনই আমরা এই ভয়ঙ্কর কম্পন অনুভব করি। কখনো মৃদু কম্পন, আবার কখনো তীব্র ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে পুরো পৃথিবী। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হয়ে ওঠে অপরিসীম।

ভূমিকম্প কেন হয়?

ভূমিকম্পের প্রধান কারণ হলো ভূ-অভ্যন্তরস্থ টেকটোনিক প্লেটের স্থানচ্যুতি। পৃথিবীর উপরিভাগ বেশ কয়েকটি বিশাল টেকটোনিক প্লেট দিয়ে তৈরি। এই প্লেটগুলো সর্বদা নড়াচড়া করছে। যখন দুটি প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তখন বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, যা ভূমিকম্পের সূত্রপাত ঘটায়। এই সংঘর্ষের ফলে প্লেটগুলোর মধ্যে ফাটল দেখা দেয়, যা চ্যুতিরেখা নামে পরিচিত। বেশিরভাগ ভূমিকম্পই এই চ্যুতিরেখা বরাবর ঘটে থাকে।

ভূমিকম্পের আরও কিছু কারণ রয়েছে, যেমন:

  • আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত: আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় বিপুল পরিমাণ শক্তি এবং গলিত ম্যাগমা বেরিয়ে আসে। এই প্রক্রিয়া ভূ-পৃষ্ঠে কম্পন সৃষ্টি করে ভূমিকম্পের জন্ম দিতে পারে।
  • ভূগর্ভস্থ বিস্ফোরণ: খনি, নির্মাণ কাজ, বা পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের মতো কার্যকলাপ ভূগর্ভস্থ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, যা ভূমিকম্পের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
  • পাহাড় ধ্বস: বৃষ্টিপাত, ভূমিকম্প, বা অন্যান্য কারণে পাহাড় ধ্বসের ফলেও ভূমিকম্প হতে পারে।

ভূমিকম্পের পরিমাপ

ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য রিখটার স্কেল ব্যবহার করা হয়। রিখটার স্কেলে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখ্যা ব্যবহার করে ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। রিখটার স্কেলে প্রতিটি একক বৃদ্ধির অর্থ ভূমিকম্পের শক্তি ১০ গুণ বৃদ্ধি।

রিখটার স্কেলে মাত্রা প্রভাব
২.৫ এর নিচে সাধারণত অনুভূত হয় না, তবে যন্ত্রে ধরা পড়ে
২.৫ - ৫.৪ অনুভূত হয়, তবে সামান্য ক্ষতি হতে পারে
৫.৫ - ৬.০ সামান্য ক্ষতি হতে পারে
৬.১ - ৬.৯ জনবহুল এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে
৭.০ - ৭.৯ ব্যাপক ক্ষতি হবে
৮.০ বা তার বেশি ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ হবে

বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি

বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত। দেশটি ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মার টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। বিশেষ করে, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল ডাউকি চ্যুতি এবং টেকনাফ-সীতাকুণ্ড চ্যুতি নামে দুটি সক্রিয় চ্যুতিরেখার উপর অবস্থিত, যা ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে যেকোনো সময় ৮ মাত্রারও বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে। এ ধরনের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, যা দেশের অর্থনীতি এবং জনজীবনে বিরাট প্রভাব ফেলবে।

ভূমিকম্পের সময় করণীয়

ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য এবং সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় উল্লেখ করা হলো:

  • ঘরে থাকলে: টেবিল, খাট, বা অন্য কোনও শক্ত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন। জানালা, আয়না, এবং ভারী আসবাবপত্র থেকে দূরে থাকুন।
  • বাইরে থাকলে: বিল্ডিং, বৈদ্যুতিক খুঁটি, এবং গাছ থেকে দূরে সরে যান। খোলা মাঠে বা উন্মুক্ত স্থানে যান।
  • গাড়িতে থাকলে: গাড়ি থামিয়ে রাস্তার ধারে অবস্থান করুন।
  • ভূমিকম্প থেমে গেলে: সাবধানে বেরিয়ে আসুন। ধ্বংসস্তূপের কাছে না যাওয়াই ভালো। জরুরি নম্বরে যোগাযোগ করে সাহায্য চান।

ভূমিকম্প প্রস্তুতি

ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত প্রস্তুতির মাধ্যমে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমানো এবং ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব।

ভূমিকম্প প্রস্তুতির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো:

  • পরিবারের সাথে পরিকল্পনা: ভূমিকম্পের সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবেন, কোথায় আশ্রয় নেবেন, এবং কি করবেন তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন।
  • জরুরি সরঞ্জাম: জরুরি সরঞ্জামের একটি ব্যাগ প্রস্তুত রাখুন, যাতে থাকবে পানি, খাবার, প্রথম সাহায্যের বাক্স, টর্চলাইট, রেডিও, নগদ টাকা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।
  • ভবনের নিরাপত্তা পরীক্ষা: আপনার বাড়ি, অফিস, এবং স্কুলের ভবন ভূমিকম্প প্রতিরোধী কিনা তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে প্রকৌশলীর সাথে পরামর্শ করে ভবনের নকশা ও কাঠামোগত পরিবর্তন আনুন।
  • ভূমিকম্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ: স্থানীয় প্রশাসন বা অন্যান্য সংস্থা द्वारा পরিচালিত ভূমিকম্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। এতে আপনি ভূমিকম্পের সময় কিভাবে নিজেকে ও অন্যদের নিরাপদ রাখবেন তা শিখতে পারবেন।

ভূমিকম্প এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে প্রস্তুতি এবং সচেতনতার মাধ্যমে আমরা এই দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে পারি এবং নিজেদের ও আমাদের প্রিয়জনদের নিরাপদ রাখতে পারি।

```

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
এআই (AI) আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কতটুকু ঝুকিপূর্ণ হতে পারে? [বিস্তারিত]

না! এআই কখনোই একজন ভালো ডেভেলপার এর জায়গা নিতে পারবে না, বরং ডেভেলপারদের কাজে হেল্প করবে এআই। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক!

বর্তমান সময়ে সবথেকে আলোচিত টপিক গুলোর মধ্যে একটি হলো এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বাংলায় যেটাকে বলে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। কয়েক বছর আগে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে নি সেটি এখন বাস্তব। এআই কে কমান্ড করলেই দিয়ে দিচ্ছে আপনার সব সমস্যার সমাধান।

এআই জিনিসটা সবার প্রথম আলোচনায় আসে ওপেন এআই (Open AI) এর একটি প্রজেক্ট চ্যাট জিপিটি (Chat GPT) দিয়ে। চ্যাট জিপিটি প্রথম ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে একটি প্রোটোটাইপ হিসেবে লঞ্চ করা হয়েছিলো। লঞ্চ হওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটটিতে ১ মিলিয়নেরও বেশি ইউজার গেইন করে ফেলে। যা এর আগে কোথাও এরকম দেখা যায় নি যা একটা ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চ্যাট জিপিটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। একই বছর ২০২৩ সালের নভেম্বরে চ্যাট জিপিটি প্লাস (Chat GPT Plus) নামে আরেকটি ভার্সন লঞ্চ করা হয় যেটিতে আগের ভার্সনের থেকে আরোও দারুণ দারুণ কাজ করা যায়। 

চ্যাট জিপিটির পর আরও একটি এআই মার্কেটে আসে যেটি ডেভেলপ করে টেক জায়ান্ট গুগল। এআই টিকে তারা টেস্টিং পারপাসে গুগল বার্ড (Google Bard) নামে লঞ্চ করলেও সব কিছু স্বয়ংসম্পুর্ণ করে পরবর্তীতে নাম দেয় জেমেনি (Gemini)। জেমেনি প্রথম অবস্থায় তেমন কার্যকরী না হলেও বর্তমানে চ্যাট জিপিটিকে টক্কর দেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখে। 

আবার রিসেন্টলি লঞ্চ করা হয় আরেকটি আলোরণ সৃষ্টিকারী এ আই যার নাম ডেভিন এ আই। ডেভিন এ আই মার্কেটে আসে একটা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের এর রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে। ডেভিন এ আই এর মাদার কোম্পানি কগনিশন দাবী করে তাদের এই এ আই-টি রিয়্যাল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের সাথে টিম আপ করে কাজ করার ক্ষমতা রাখে। কোড প্রবলেম সলভিং এর দিকে লক্ষ্য করলে ডেভিন এ আই এর এবিলিটি অন্য সব এ আই এর থেকে অনেক বেশি। এটি ইন্টারনেটে থাকা ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবলেম সলভ করে প্রোগ্রামিং জগতে সারা জাগায়। কারণ লেটেস্ট এআই টেকনোলজি চ্যাট জিপিটি পেরেছিলো মাত্র ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ আর এটাই ছিলো ডেভিন এআই আসার আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড। তাহলে একবার ভেবে দেখুন ডেভিন এআই প্রোগ্রামিং নলেজ।

এরকম ধাপে ধাপে আরোও অনেক এই লঞ্চ করা হয়। যাকগে সেসব কথা। এবার জেনে নিই যে কেন মানুষের মনে এ আই নিয়ে ভয়ের সঞ্চার হলো? মানুষের কাজ সহজ করার জন্য এই আই তৈরি করা হলেও কেন মানুষ দিন দিন এআই কে ভয় পাচ্ছে? এসব প্রশের উত্তর জানতে হলে আগে আপনাকে জানতে হবে এ আই দিয়ে কি কি কাজ করানো সম্ভব হয়েছে এবং একটা এ আই কি কি করতে পারে?

  1.  যেকোনো ধরণের সমস্যার সমাধান করতে পারে। প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের সকল প্রবলেম সল্ভ করতে পারে।
  2. একজন প্রোগ্রামার বা ডেভেলপার এর মতো নির্ভুল ভাবে কোড লিখতে পারে। 
  3. একজন সাধারণ মানুষের মতোই আপনার সাথে কথোপকথন করতে পারে। আপনার মনেই হবে না যে আপনি একটা আর্টিফিসিয়াল কোনো কিছুর সাথে কথা বলছেন।
  4. অনেকে আগে থেকেই ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে এ আই ইন্টিগ্রেটেড রোবটের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় যে রোবট গুলো একজন ওয়ার্কারের থেকেও বেশি কাজ করতে পারে এবং আরও নিখুতভাবে করতে পারে।
  5. যে কাজ গুলো একজন মানুষের পক্ষে কষ্ট সাধ্য সেগুলো খুব সহজেই করে দিতে পারে নিখুত ভাবে।


এ আই কি কি করতে পারে সেটা লিস্টিং না করে মনে হয় কি করতে পারে না সেটা লিস্টিং করলে বেটার হয় কারন এমন কোনো কাজ নাই যেটা এ আই দিয়ে পসিবল না। সমস্যাটা এই জায়গাতেই। কেন? চলুন একটা উদাহরণের সাথে বুঝা যাক। ধরুন আপনি একটা কোম্পানির মালিক এবং আপনার কোম্পানিতে কয়েকজন ওয়ার্কার কাজ করে। এখন আপনার কাছে যদি অপশন থাকে যে আপনি একটা এ আই দিয়ে কম খরচে ২-৩ জন ওয়ার্কের কাজ করাতে পারবেন তাও আবার আরোও নিখুত ভাবে তাহলে আপনি সেটা করবেন না? উত্তর হলোঃ অবশ্যই করবেন তাই না? 

এটাই হচ্ছে এআই গুলো আসার পর। যদিও বর্তমান সময়ে এআই গুলো একজন ওয়ার্কার বা ডেভেলপার এর রিপ্লেসমেন্ট হওয়ার মতো পর্যায়ে যায়নি কিন্তু এআই যেভাবে ডেভেলপ হচ্ছে তাতে খুব বেশিদিন আর লাগবে না রিপ্লেস হতে। 

এবার আসি প্রোগ্রামারদের বিষয়ে। প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, একজন প্রোগ্রামার বা ডেভেলপার এর কাজ যদি একটা এআই-ই করে দেয় তাহলে তারা কোথায় যাবে? 

আচ্ছা সর্বপ্রথম যখন ক্যালকুলেটর আবিষ্কার হয় তখনও মানুষ ভেবে ছিলো যে অফিসের অ্যাকাউন্টেন্ট বা হিসাব রক্ষকদের চাকরি চলে যাবে। কিন্তু আদৌও কি তা হয়েছে? মানুষ কি ক্যালকুলেটর ছাড়া যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করা বাদ দিয়েছে? বরং অ্যাকাউন্টেন্টদের কাজের জন্য আরোও সুবিধা হয়েছে। 

ক্যালকুলেটরের কথা বাদই দিলাম নাহয়, ধরেন কম্পিউটারের কথা। কম্পিউটার যখন আবিষ্কার হয় তখনও মানুষ সেম কথাই বলেছিলো যে হিউজ পরিমাণ একটা অ্যামাউন্টের এমপ্লয়িদের চাকরি চলে যাবে, বেকারত্ব বাড়াবে। কিন্তু সেটাও কি হয়েছে? উল্টো বেকারত্ব হ্রাস করেছে ইউজ পরিমাণ, এখনো করছে। তাহলে এআই কিভাবে এসব করবে? 

এখন আরেকটা প্রশ্ন করে বসতেই পারেন যে, ভাই ক্যালকুলেটর বা কম্পিউটার কি নিজে নিজে কাজ করতে পারে? সেটাকে তো একজন চালাতে হয়, মানে তাকে কাজ করিয়ে নিতে হয়। এক্সাক্টলি বিষয়টা তাই। কম্পিউটার চালাতেও কম্পিউটার সম্পর্কে নলেজ লাগে, যত বেশি এক্সপার্ট ততবেশি কাজ করাতে পারবেন কম্পিউটার দিয়ে।

এ আই এর বিষয়টিও তাই। এআইকে চালিয়ে কাজ করে নিতেও একটা বেশ দক্ষ জনবল দরকার, আপনি যদি না-ই জানেন এআই দিয়ে কি কি কাজ করাবেন, কিভাবে করাবেন, কিভাবে করলে বিষয়টি আরোও সুন্দর হয় এটার জন্যও আপনাকে বেশ ভালো মাপের ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার হতে হবে। কারণ একজন ওয়ার্কারের রিপ্লেসমেন্ট যদিও এ আই হতে পারবে কিন্তু ইউম্যান ব্রেইনের রিপ্লেসমেন্ট একটা এআই কখনোই হতে পারবে না। এসব এআইকে কারা উন্নত করবে? ডেভেলপার বা প্রোগ্রামাররাই তো নাকি? তাহলে আপনি যদি এখন প্রোগ্রামারদের ভাত নাই ভেবে কোডিং শিখা বাদ দেন তাহলে এআই ডেভেলপ করবে কারা? আর একজন ডেভেলপার এর কাজ কি শুধুই কোড করা? কোড করা তো ডেভেলপমেন্ট এর একটা পার্ট মাত্র।

তাই প্রোগ্রামারদের ভাত নাই, চাকরি খেয়ে দিবে এআই এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক না। পুরোপুরি বললাম কারণ যারা মিড বা ব্যাসিক রেঞ্জের প্রোগ্রামার আছেন তাদের কাজ অনায়েসে একটা এ আই করতে পারবে খুব সহজেই। তাহলে আপনাকে কোম্পানি সেই কাজের জন্য শুধু শুধু টাকা দিয়ে পুশবে কেন? এই জন্যই আপনাকে অ্যাডভান্সড লেভেলের প্রোগ্রামার হতে হবে। তাহলেই বুঝতে পারবেন এ আই এর লেভেল অব এবিলিটি কতটুকু আর সত্যিই এ আই ডেভেলপারদের রিপ্লেসমেন্ট কিনা! এ আই ডেভেলপারদের সাপোর্ট হিসেবে কাজ করবে কিন্তু পুরোপুরি রিপ্লেসমেন্ট কখনই হতে পারবে না। অন্তত পরবর্তী কয়েক দশক তো নয়ই।

আর কোন কোন সেক্টরে এ আই প্রভাব ফেলবে এটা বলতে গেলে উত্তর হবে প্রায় সব সেক্টরেই। শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ডেইলি লাইফ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই এ আই এর ব্যবহার খুব তারাতাড়িই শুরু হয়ে যাবে। এই জন্য কমবেশি সব সেক্টরেই এ আই এর জন্য কিছু সংখক ওয়ার্কার চাকরি হারাবেই। তাই আপনি যে সেক্টরেই যান না কেন নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে হবে। নিজেকে সেই হিসাবেই প্রস্তুত করুন। 

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ইঁদুরের কাছে পৃথিবী দেখতে কেমন?

ইঁদুরের কাছে পৃথিবী দেখতে কেমন?

এই ছবিটি একটি ছোট্ট ইঁদুরের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা একটি বিশাল, রঙিন, খেলনা-সদৃশ বিশ্বের দৃশ্য উপস্থাপন করে। ইঁদুরটি একটি বিশাল ব্লক টাওয়ারের দিকে তাকিয়ে আছে, তার চোখে দৃঢ় সংকল্পের ঝলক রয়েছে। এই ছবিটি একটি খেলনার বিশ্বের মতোই মজাদার এবং উজ্জ্বল রঙের।


ইঁদুররা পৃথিবীকে কিভাবে দেখতে পায়?
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
মহাকাশ স্টেশনে বাচার জন্য অক্সিজেন কোথা থেকে পায় বিজ্ঞানীরা?

মহাকাশ স্টেশনে বেঁচে থাকার জন্য বিজ্ঞানীরা অক্সিজেন বেশ কয়েকটি উপায়ে উৎপন্ন করে থাকেন:


  • ইলেক্ট্রোলাইসিস প্রক্রিয়া: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) অক্সিজেন সাধারণত পানির ইলেক্ট্রোলাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়ায়, বিদ্যুৎ ব্যবহার করে পানিকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনে বিভক্ত করা হয়। এরপর, অক্সিজেন মহাকাশচারীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • স্টোর করা অক্সিজেন ট্যাঙ্ক: স্টেশনে তরল আকারে অক্সিজেন সংরক্ষণ করা হয়, যা প্রয়োজনে শ্বাস নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।

  • কেমিক্যাল অক্সিজেন জেনারেটর: এগুলো একটি বিশেষ ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ব্যবহার করে অক্সিজেন তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত পটাসিয়াম পারক্লোরেটের মতো রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়, যা উত্তপ্ত হয়ে অক্সিজেন উৎপন্ন করে।


এছাড়া, বর্জ্য পণ্যগুলির ব্যবস্থাপনাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ব্যবহৃত হাওয়া এবং শ্বাসপ্রশ্বাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের প্রয়োজন হয়, যা সাধারণত বিশেষ ফিল্টার সিস্টেমের মাধ্যমে করা হয়।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
পৃথিবীতে কিভাবে দিন-রাত সৃষ্টি হয়?

আমরা পৃথিবীর প্রত্যেকেই দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারের একটি সুন্দর চক্রের মধ্যে বাস করি। কিন্তু কেন এই দিন-রাতের পরিবর্তন কেন হয়? এর পেছনে বিজ্ঞানের একটি সহজ ও বেশ মজার ব্যাখ্যা আছে।

পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘুরে। অর্থাৎ পৃথিবী সুর্যের চারপাশে ঘুরার পাশাপাশি নিজের অক্ষের উপরেও পাক খায়। এটাই হচ্ছে দিন-রাত সংগঠিত হওয়ার প্রধান কারন।


বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে আমাদের নিচের টার্ম গুলো খুব ভালো ভাবে বুঝা জরুরী।

আহ্নিক গতি: পৃথিবী তার নিজস্ব অক্ষের উপর ঘোরে, যাকে আহ্নিক গতি বলে। এই ঘূর্ণন একবার সম্পূর্ণ করতে পৃথিবীর প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে।

সূর্যের আলো: পৃথিবীর নিজস্ব কোনো আলো নেই। আমরা সূর্যের আলোতেই দিনের আলো দেখতে পাই।

চাদের আলোঃ রাতে আমরা অন্ধকার দেখতে পাই কিন্তু আকাশে শুধু চাঁদ আর তারা দেখি। চাঁদ বা তারা কারোও নিজস্ব আলো নেই। সুর্য থেকে আলো চাদের পৃষ্ঠে পড়ে আর সেই আলো আবার পৃথিবীতে প্রতিফলন হয়ে আমাদের আলোকিত করে। যাকে আমরা বলে থাকি চাদের আলো।

পৃথিবীর অবস্থান: যখন পৃথিবীর একটি অংশ সূর্যের সামনে থাকে, তখন সেখানে দিন হয়। কারণ সূর্যের আলো সেখানে পৌঁছায়। অন্যদিকে, যখন পৃথিবীর কোনো অংশ সূর্যের বিপরীত দিকে থাকে, তখন সেখানে রাত হয়।

পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন: পৃথিবীর আবর্তনের ফলে দিন ও রাত পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়। যেমন, যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি, তখন পৃথিবী ঘুরে আমাদের অবস্থানকে সূর্যের সামনে নিয়ে আসে এবং আমরা দিনের আলো দেখতে পাই।


কি হতো যদি পৃথিবী না ঘুরতো?

  • যদি পৃথিবী তার অক্ষের উপর ঘুরত না, তাহলে দিন ও রাতের কোনো পরিবর্তন হত না।
  • পৃথিবীর একদিক সবসময় সূর্যের দিকে মুখ করে থাকত, ফলে সেখানে চিরদিন দিন থাকত।
  • অন্যদিক সবসময় সূর্যের বিপরীত দিকে থাকত, ফলে সেখানে চিরকাল রাত থাকত।


দিন-রাতের দৈর্ঘ্য কেন সবসময় সমান হয় না?

পৃথিবীর অক্ষের হেলানোর কারণে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সবসময় সমান হয় না। অর্থাৎ পৃথিবী যখন আমাদের অক্ষের উপর আবর্তন করে তখন অক্ষের এক দিকে সামান্য একটু হেলে আবর্তন করে। যার কারণে পৃথিবীর সব জায়গায় সব সময় দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয় না। গ্রীষ্মকালে দিন দীর্ঘ এবং রাত ছোট হয়, আর শীতকালে দিন ছোট এবং রাত দীর্ঘ হয়।



সহজ ভাবে বলতে গেলেঃ পৃথিবীর আহ্নিক গতিই দিন-রাতের মূল কারণ। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সূর্যের আলো পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে পর্যায়ক্রমে পৌঁছায় এবং এইভাবেই দিন ও রাতের চক্র চলতে থাকে।


দিন ও রাতের ছবিঃ

দিন ও রাতের ছবি। ছবিতে দেখানে হয়েছে কেন পৃথিবীতে দিন ও রাত হয়

একটা প্রশ্ন করে নিজে জানুন অন্যকে জানতে সহায়তা করুন
সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। এখানে আপনি আপনার বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগতসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান চেয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগীতা করতে পারবেন। আজই আমাদের সাথে শুরু করে দিন আপনার পথচলা।
...