সাধারণ ডট নেটে আপনাকে স্বাগতম! রেজিষ্ট্রেশন করে আজই আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে যান...
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ

শূন্যের ব্যবহার কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল?

সর্বপ্রথম কে বা কারা শূন্যের ব্যবহার শুরু করে?

2 টি উত্তর

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ

শূন্যের ব্যবহার প্রথম শুরু হয়েছিল প্রাচীন ভারত-এ। প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদরা শূন্যের প্রতীক এবং এর গাণিতিক ব্যবহার বিকশিত করেন। শূন্য শব্দের জন্য সংস্কৃত শব্দ ছিল "শূন্য", যার অর্থ ফাঁকা বা কিছুই না


প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন শিলালিপি ও পাণ্ডুলিপিতে শূন্যের ব্যবহার পাওয়া যায়, বিশেষত খ্রিস্টপূর্ব ৩য় বা ৪র্থ শতক থেকে শূণ্যের ব্যবহার শুরু হয়। তবে, শূন্যকে গাণিতিকভাবে ব্যবহার এবং তার নিয়মাবলি প্রতিষ্ঠা করেন গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত (খ্রিস্টাব্দ ৫৯৮-৬৬৮)। তাঁর রচনায় শূন্যকে একটি সংখ্যারূপে গণ্য করা হয়, অন্যান্য সংখ্যার সাথে এর গাণিতিক অপারেশন কিভাবে করতে হবে তা বর্ণনা করা হয়। 

avatar
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ

মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে সংখ্যার ব্যবহার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। আর এই সংখ্যার জগতে শূন্যের আবির্ভাব এক বিস্ময়কর ঘটনা। শূন্য, যা ‘কিছু না’ বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও, গণিতের জগতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই নিবন্ধে আমরা শূন্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস, এর পেছনের রহস্য, বিতর্ক এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করবো।


প্রাচীন সভ্যতায় শূন্যের ধারণা

শূন্যের ধারণা একদিনে আসেনি। বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতায় এর আভাস পাওয়া যায়। ৪০০০-৫০০০ বছর আগে সুমেরীয়রা তাদের গণনা পদ্ধতিতে ‘খালি জায়গা’ হিসেবে শূন্যের ব্যবহার করত। পরবর্তীতে ব্যাবিলনীয়রা দুটি কোণাকৃতির চিহ্ন (′′) ব্যবহার করে শূন্যকে চিহ্নিত করে।

তবে, এই সকল সভ্যতায় শূন্য কেবল ‘স্থানধারক’ হিসেবে ব্যবহৃত হত, স্বতন্ত্র সংখ্যা হিসেবে নয়। মিশরীয়রা, যারা জ্যামিতি ও জ্যোতির্বিদ্যায় বেশ পারদর্শী ছিল, তারাও শূন্যকে অস্বীকার করত।


ভারতে শূন্যের উত্থান

বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতা শূন্যকে অস্বীকার করলেও, ভারতীয় উপমহাদেশে এর বিকাশ ঘটে ভিন্নভাবে। ঋগ্বেদে ‘শূন্য’ শব্দের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বৌদ্ধ দর্শনেও মনকে ‘শূন্য’ করার ধারণার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

খ্রিস্টীয় ৪৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্ট তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আর্যভটীয়’ তে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান, গতি ইত্যাদি বর্ণনা করতে গিয়ে শূন্যের ধারণা ব্যবহার করেন।

পরবর্তীতে, ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রহ্মগুপ্ত তার গ্রন্থ ‘ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত’ -এ শূন্যকে একটি স্বাধীন সংখ্যা হিসেবে স্থান দেন এবং এর গাণিতিক ব্যবহার ব্যাখ্যা করেন।


শূন্যের বিস্তার

আরব বণিকদের মাধ্যমে ৮ম শতাব্দীতে শূন্য আরব বিশ্বে প্রবেশ করে। আরব গণিতবিদ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজমি শূন্যের ধারণাকে আরও উন্নত করেন।

১২শ শতাব্দীতে ইতালীয় গণিতবিদ ফিবোনাচ্চি আরবদের কাছ থেকে শূন্যের ধারণা ইউরোপে প্রবর্তন করেন।


শূন্যের গুরুত্ব

শূন্যের আবিষ্কার গণিতের জগতে এক যুগান্তকারী ঘটনা।

  • এটি দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন করে।
  • এর ফলে বীজগণিত, ক্যালকুলাস ইত্যাদি বিষয়ের বিকাশ ঘটে।
  • কম্পিউটার বিজ্ঞানে বাইনারি পদ্ধতি (০, ১) শূন্যের উপর নির্ভরশীল।

শূন্যের আবিষ্কার মানুষের চিন্তা-ভাবনার এক বিরাট পরিবর্তন আনে। এই "কিছু না" থেকে "কিছু" তৈরির ধারণা মানুষের সৃজনশীলতার এক অনন্য উদাহরণ।

এরকম আরও প্রশ্ন

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
মহাকাশ স্টেশনে বাচার জন্য অক্সিজেন কোথা থেকে পায় বিজ্ঞানীরা?
কিভাবে তারা বেচে থাকে?
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দশমিক কে আবিষ্কার করেন?
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কে আবিষ্কার করেন?
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
লঞ্চ হলো আমাদের প্রথম এআই টুল - সৃজন!

We Are Introducing Our Brand New AI Tool - Srizon

Srizon - Shadharon.Net

আমরা যারা নিয়মিত কন্টেন্ট লেখালেখির সাথে জড়িত, তারা সকলেই জানি কতটা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ কাজ এটি। কোন বিষয় নিয়ে লিখবো, কীভাবে লিখবো, কীভাবে অপ্টিমাইজড করবো - এইসব নিয়ে প্রায়ই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় কম্পিটিটরদের আর্টিকেল পড়ে পড়ে অ্যানালাইসিস করে নতুন করে আরেকটি ইউনিক আর্টিকেল লেখা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু এবার এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে “সৃজন”।


সৃজন কী?

সৃজন হলো একটি এআই কন্টেন্ট জেনারেটর টুল যা এআই-এর সাহায্যে আপনার জন্য ইউনিক এবং অপ্টিমাইজড আর্টিকেল তৈরি করে দিতে সক্ষম।


সৃজন কিভাবে কাজ করে?

সৃজন ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। আপনাকে প্রথমে ২-৩ টি আর্টিকেল ইনপুট হিসেবে দিতে হবে যেগুলোর উপর ভিত্তি করে আপনি নতুন আর্টিকেল তৈরি করতে চান। আপনি আপনার প্রতিযোগীদের আর্টিকেলও ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনাকে নতুন আর্টিকেলটি কোন ভাষায় চান তা সিলেক্ট করতে হবে। ব্যাস! কিছুক্ষণের মধ্যেই সৃজন আপনার জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন এবং ইউনিক আর্টিকেল তৈরি করে ফেলবে।


সৃজনের বিশেষ কিছু সুবিধা:

  • Multi Language Support : সৃজন যেকোনো ভাষার আর্টিকেল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অন্য যেকোনো ভাষায় নতুন আর্টিকেল তৈরি করতে পারে।
  • ইউনিক এবং অপ্টিমাইজড কন্টেন্ট : সৃজন প্রতিবারই ইউনিক এবং অপ্টিমাইজড আর্টিকেল তৈরি করতে পারে। 
  • নতুন ইনফরমেশন আপডেট : শুধুমাত্র ইনপুট থেকে নেওয়া আর্টিকেলের ইনফরমেশনই নয়, সৃজন নিজে থেকেও প্রয়োজনীয় আপডেট তথ্য সংগ্রহ করে আর্টিকেলকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।
  • Google Gemini 1.5 Pro API : সৃজনে Google এর সবচেয়ে শক্তিশালী Gemini 1.5 Pro API ব্যবহার করা হয়েছে। ।
  • সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার : সৃজন ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। এটি একদম ফ্রি।


সৃজন কাদের জন্য?

  • নিয়মিত ব্লগ লেখেন।
  • ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেন।
  • ই-কমার্স ব্যবসা করেন।
  • ছাত্র-ছাত্রী যারা তাদের রিসার্চ পেপার, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি লেখার জন্য সাহায্য চান।


বর্তমানে কোনো এআই-ই নির্ভুল নয়। তাই আমাদের এই টুলটিও যেহেতু এআই দিয়েই বানানো হয়েছে তাই আর্টিকেলের মধ্যে সামান্য একটু হলেও রোবোটিক ভাব দেখা যাবেই যেটা বাকি এআই এর জন্যেও প্রযোজ্য। তাই আর্টিকেল জেনারেট করার পর একবার ভালো ভাবে পড়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করা উত্তম।



সৃজন সম্পর্কে আপনার মতামত বা পরামর্শ জানাতে ভুলবেন না। 

0 টি উত্তর
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দেশবাচক শব্দ হিসেবে 'বাংলা' প্রথম ব্যবহৃত হয় কোন গ্রন্থে?
দেশবাচক শব্দ হিসেবে 'বাংলা' প্রথম ব্যবহৃত হয় কোন গ্রন্থে?
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশনের নাম কি?
বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশনের নাম কি?
সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। এখানে আপনি আপনার বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগতসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান চেয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগীতা করতে পারবেন। আজই আমাদের সাথে শুরু করে দিন আপনার পথচলা।
...