সৌড় ঝড় (Solar Strom) এর প্রভাব সাধারণত নির্ভর করে এর তীব্রতার উপর। আর এর তীব্রতা মাপার জন্য তৈরি করা হয়েছে G-Scale (Geomagnetic Scale). এই স্কেল অনুযায়ী, সৌর ঝড়ের তীব্রতা G1, G2, G3, G4 ও G5 হিসেবে প্রকাশ করা হয়। যেখানে G1 হচ্ছে সব থেকে কম তীব্রতা ও G5 হচ্ছে সবথেকে বেশি।
তাই সৌর ঝড়ের তীব্রতা কোনো স্কেলে পড়ে এটার উপর ডিপেন্ড করে ধারণা করা হয় এর প্রভাব কিরকম হতে পারে। তীব্রতা বেশি হলে বিঘ্নতার সমাধান করতে বেশি সময় লাগবে। যেমনঃ ২০২৪ সালের মে মাসে একটি শক্তিশালী সৌর ঝড় (G5 স্তরের) পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই ঝড়ের ফলে GPS সিস্টেম, স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং কিছু কিছু বিদ্যুৎ গ্রিডে সাময়িক বিঘ্ন দেখা যায়।
আবার এটা শুধু তীব্রতার উপরেই ডিপেন্ড করে না, কোন প্রযুক্তির উপর প্রভাব পড়েছে সেটাও অনেক বড় ফ্যাক্টর এখানে। সৌর ঝড়ের সময় সূর্য থেকে নির্গত করোনাল মাস ইজেকশন (CME) পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে এক প্রকার সংঘর্ষ করে যার ফলে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় সৃষ্টি হয়। এই ঝড়ের ফলে Geomagnetically Induced Current (GIC) তৈরি হয় যা বিদ্যুৎ গ্রিড, স্যাটেলাইট এবং সমুদ্রতল ফাইবার অপটিক কেবলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সিস্টেমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
তাই বিদ্যুৎ গ্রিডে যদি কোনো ঝামেলা হয় সেটা সাড়াতে যেসময় লাগতে পারে তার তুলনায় যদি সাবমেরিন ক্যাবল (ফাইবার অপটিক) এর ঝামেলা হলে সাবমেরিন ক্যাবলের ঝামেলা সাড়াতে বেশি সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক কারণ সেটা সমুদ্রের নিচে।
তবে আপনার দেওয়া ফটোকার্ডে যে সৌড় ঝড়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা CNN থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত G4 স্কেলে রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এটি G3 স্কেলে হচ্ছিলো। কিন্তু এই সৌড় ঝড়ের কারণে মেজর বা গুরুতর কোনো সমস্যা হয়েছে ইন্টারনেট বা অন্যান্য সিস্টেমে - এরকম কোনো খবর পাওয়া যায় নি। এখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
তথ্যসুত্রঃ
https://www.swpc.noaa.gov/noaa-scales-explanation
https://www.earth.com/news/strong-geomagnetic-solar-storm-alert-issued-auroras-expected-farther-south/