সাধারণ ডট নেটে আপনাকে স্বাগতম! রেজিষ্ট্রেশন করে আজই আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে যান...
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দাবা খেলায় মেয়েদের জন্য আলাদা ক্যাটেগরি রাখা হয় কেন?

দাবা খেলায় মেয়েদের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো মেয়েদেরকে বেশি বেশি উৎসাহিত করা ও খেলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানো। কারণ প্রতিযোগিতামূলক দাবার সকল টুর্নামেন্টে ছেলেদের সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি। যেহেতু ছেলেদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি তাই দাবার বিশ্বসেরা রেটিং তালিকায় মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম। এজন্য মেয়েদের মধ্যে দাবা খেলার আগ্রহ যাতে আরোও বৃদ্ধি পায়, খেলায় তাদের অংশগ্রহণ যেন আরও বৃদ্ধি পায় এজন্যই মেয়েদের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি রাখা হয়। তবে "ইউএস ওপেন" এর মতো টুর্নামেন্ট গুলোতে দাবা খেলায় প্রতিযোগীতায় লিঙ্গ, বয়স, জাতীয়তা কিছুই দেখা হয় না, সবার জন্য উন্মুক্ত। 


সোর্সঃ https://en.chessbase.com/post/why-there-s-a-separate-world-chess-championship-for-women


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বাস, ট্রেন, বিমানের মতো যানবাহনে কিভাবে যাত্রীদের Wifi সেবা দেওয়া হয়?
বাস বা ট্রেনের মতো যানবাহন গুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওয়াইফাই দেওয়া হয়।  যানবাহনে একটি Mobile Router বা Wi-Fi Hotspot ডিভাইস ব্যবহার করা হয় যে ডিভাইসটি মোবাইল নেটওয়ার্ক (যেমন 4G বা 5G) ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড থাকে এবং তারপর সেই ইন্টারনেট ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। অনেকটা Hotspot এর মতো। কিন্তু সব জায়গায় তো আর মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। যেমন জাহাজ এবং বিমানের মতো স্থানে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না তাই সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। একটি Satellite Dish বসানো হয় যা সরাসরি স্যাটেলাইটের সাথে কানেক্টেড থাকে। স্যাটেলাইট তখন Ground Station থেকে ইন্টারনেট নেয় এবং জাহাজে বা বিমানে থাকা ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছে পৌছে দেয়।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ঔষধে ব্যবহৃত ক্যাপসুল কি শরীরের জন্য নিরাপদ?

এটাকে বলে "ক্যাপসুল সেল" যেটি জেলাটিন দিয়ে তৈরি করা হয়। এই জিলাটিন পশুর চামড়া ও হাড় থেকে প্রাপ্ত কোলাজেন থেকে তৈরি একটি প্রোটিন যেটি শরীরের জন্য নিরাপদ এবং হজমযোগ্য। এটি শুধু ঔষধ সরবরাহের জন্য মোড়ক বা কভার হিসেবেই কাজ করে না বরং এর নিজেরও কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। জেলটিনে থাকা কোলাজেন আমাদের জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শুধু তাই নয় এই ক্যাপসুলগুলো চুলের উন্নতি, ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। 


তবে এর কিছু পার্শ্বপতিক্রিয়াও হতে পারে বিশেষ করে বদহজম, এলার্জি, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। এগুলো অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে কিডনি এবং লিভারের ক্ষতি হতে পারে বলেও জানা গেছে। কিন্তু যদি ক্যাপসুল তৈরিতে পশুর চামড়া বা হাড় ব্যবহার না করে যদি উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত হাইড্রোক্সিপ্রোপাইলমিথাইলসেলুলোজ (HPMC) ব্যবহার করা হয় তখন এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না কারণ এটা সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক। তখন আর এই ক্যাপসুল গুলো আমাদের শরীরে কোনো নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট ফেলে না।


সোর্সঃ https://www.mankindpharma.com/blog/what-are-capsule-covers-made-up-of-are-they-safe/


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
পারফিউম ও লেন্স ক্লিনারের বিক্রিয়ার কি উৎপন্ন হয়?

পারফিউমে সাধারণত ইথানল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু লেন্স ক্লিনার হিসেবে ব্যবহার করা হয় এরকম অনেক যৌগ আছে। যেমনঃ অ্যামোনিয়া, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ইত্যাদি। 


ইথানলের সাথে অ্যামোনিয়ার বিক্রিয়াঃ C2H5OH (ইথানল) + NH3 (অ্যামোনিয়া) --> C2H5NH2 (ইথাইল অ্যামিন) + H2O (পানি)


ইথানলের সাথে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের বিক্রিয়াঃ C2H5OH (ইথানল) + H2O2 (হাইড্রোজেন পার অক্সাইড) --> CH3CHO (অ্যাসিটালডিহাইড) + 2H2O (২ অণু পানি)


ইথানলের সাথে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল এর বিক্রিয়াঃ যেহেতু এখানে দুইটি যৌগ-ই অ্যালকোহল তাই সাধারণ তাপমাত্রা ও চাপে কোনো বিক্রিয়া করবে না। 


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
যারা জন্মান্ধ তারা কি আসলে জানে রঙ বলতে কিছু আছে?
সিম্পলি আপনাকে যদি বলা হয় এমন এক বস্তু কল্পনা করুন যেটা আপনি কখনো দেখেনই নি তাহলে কি আপনি সেটা পারবেন? এটা মাথায় রেখে আপনি যত ধরণের বস্তুই কল্পনা করেন না কেন দেখবেন এর আকার, আকৃতি, রঙ আপনার দেখা কোনো না কোনো বস্তুর সাথে মিল রয়েছে। আমাদের ব্রেইন নতুন কোনো অবয়ব বানাতে পারে না কখনো, যা তার মেমোরিতে আছে তাই ঘষা-মাজা করে অন্য ভাবে আপনার কাছে রিপ্রেজেন্ট করে।

বিষয়টা এরকমই। যারা অন্ধ তাদের এই দুনিয়ার কোনো বস্তুর সম্পর্কেই আইডিয়া এই যে এটা কিরকম। একটা বস্তুকে হাত দিয়ে স্পর্শ করে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে আপনি এর আকার বা আকৃতি সম্পর্কে আইডিয়া পাবেন কিন্তু রঙ সম্পর্কে কোনো আইডিয়া পাবেন কি যে এটার রঙ কি? অবশ্যই না। দেখতে পারাও এক ধরণের অনুভুতি যে অনুভুতি তাদের মধ্যে নাই। তারা এই অনুভুতি কল্পনাও কুরতে পারে না। তাই অন্ধরা আসলে জানেই না রঙ কি জিনিস, জন্মগত অন্ধ যারা তারা শুধু একটাই রঙ বুঝতে পারে সেটা হলো কালো। কালো ছাড়া তারা আর কোনো রং-ই কল্পনা করতে পারে না। 
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
আদা আর জিরা একসাথে খেলে কি ওজন কমে ?

আদা এবং জিরা দুটোই ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে তবে শুধুমাত্র আদা আর জিরা মিশিয়ে খেলে ওয়েট লস হবে এরকম কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। 


তবে আদা ও জিরার নিজস্ব কিছু উপকারিতা আছে যা ওজন কমানোর যাত্রাকে কিছুটা সহজ করতে পারে। আদা শরীরের বিপাকক্রিয়া  বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা জিঞ্জারলস (gingerols) ও শোগাওলস (shogaols) নামক যৌগগুলো চর্বি পোড়াতে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে। একটি মেটা-অ্যানালাইসিসে দেখা গেছে, আদা খেলে শরীরের ওজন, কোমরের মাপ এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে। জিরা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিরা যদি ৮ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় জিরা সেবন করে তাহলে তাদের ওজন Body Mass Index (BMI) হ্রাস পেতে পারে। তবে শুকনা লেবু, আদা এবং জিরা একসাথে খেলে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। 


সোর্সঃ https://www.verywellhealth.com/spices-for-weight-loss-8778941


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সাপ্তাহিক দিনের নাম গুলো কেন গ্রহ-নক্ষত্রের নামের সাথে মিল রেখে রাখা হয়?

প্রাচীনকালে সূর্য, চন্দ্র, বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি এই ৭টি বস্তুকে মানুষ দেবতা হিসেবে বিবেচনা করতো। তখনও সাপ্তাহিক দিন গুলোর নামকরণ করা হয় নি। তার মানে আগে গ্রহ-নক্ষত্রদের নাম এসেছে তারপর সাপ্তাহিক নাম। বাইবেলের ধারণা অনুযায়ী, যিশু খৃষ্ট ও ইহুদীরা প্রথমদিকে একটানা ৬দিন কাজ করতো এবং সপ্তম দিনে তারা বিশ্রাম নিতো। সুমেরীয়রা এবংব্যাবিলনীয়রা সর্বপ্রথম বছরকে সপ্তাহে ভাগ করে এবং সপ্তাহের একটা দিনকে তারা বিনোদন বা বিশ্রামের জন্য নির্ধারণ করে। 


পরবর্তীতে ব্যাবিলনীয়রা সপ্তাহের ৫টি দিনকে বুধ , শুক্র , মঙ্গল , বৃহস্পতি এবং শনির নাম অনুসারে নামকরণ করে এবং বাকি ২টি দিন রোমানরা সূর্য (রবি) ও চাঁদের (সোম) নাম অনুসারে নামকরণ করে। কিন্তু শতাব্দী ধরে রোমানরা ৮ দিনের সপ্তাহ ধরে কাজ সব রকম কাজ করতো কিন্তু ৩২১ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট কনস্টানটাইন রোমান ক্যালেন্ডারে সাত দিনের সপ্তাহ প্রতিষ্ঠা করেন এবং রবিবারকে সপ্তাহের প্রথম দিন হিসেবে চিহ্নিত করে দেন। তবে সেটা যাইহোক, সাপ্তাহিক নাম গুলো গ্রহের নাম অনুসারে এসেছে এটাও যেমন বলা যায় তেমনি এটাও বলা যায় যে, প্রাচীন দেবতাদের নাম অনুসারেও সাপ্তাহিক দিনের নাম গুলো এসেছে। কারণ গ্রহ গুলোর নামকরণও করা হয়েছে দেবতাদের নাম অনুসারে। তখন তারা গ্রহ, নক্ষত্র, উপ-গ্রহ এসব কিছুই বুঝতো না, তারা এগুলোকে দেবতা মনে করতো। 


সোর্সঃ https://www.britannica.com/science/week


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ফুটপাতে হলুদ রঙ এর লাইন কেন বানানো হয়?

এটি মুলত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য করা। 


এই হলুদ টাইলস গুলোতে লম্বা লম্বা যে উচু স্ট্রাইপ গুলো আছে এগুলোর উপর একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পা রাখলে বুঝতে পারে যে আমাকে সোজা-সুজি যেতে হবে। আবার সবার শেষের টাইলসটায় ৬ টি গোলাকার বৃত্ত থাকে যেগুলো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষটিকে বুঝায় এখান থেকে ফুটপাত শেষ বা ফুটপাত নিচে নেমে গেছে। অর্থাৎ এই হলুদ লাইনের দুই প্রান্তের টাইলসে এরকম ৬টি করে গোলাকার স্ট্রাইপ ওয়ালা ২টি টাইলস দেওয়া থাকে যেগুলো আসলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের এই হলুদ লাইনের প্রান্ত বুঝতে সাহায্য করে। 

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
গরমকালে রেলের লাইন বাকা হয়ে যায় কেন?

এটার উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হলো অতিরিক্ত তাপমাত্রা। প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেল লাইন বেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেল লাইন বেকে যাওয়ার এই ঘটনাকে বলে "Sun Kink". রেল লাইন ও রেলের চাকা উভয়েই ইস্পাতের তৈরি। তাই লক্ষ্য করে দেখবেন, যখন লাইনের উপর দিয়ে রেল যায় তখন চাকা ও লাইনের ঘর্ষণের জন্য তাপ উৎপন্ন হয়ে ফলে রেল লাইন গরম হয়ে যায়। তার উপর আবার আবহাওয়া জনিত কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আগে থেকেই অনেক গরম হয়ে থাকে রেল লাইন। এতে করে আরও সহজেই রেল লাইন বেকে যেতে পারে। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। 

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ফ্যানে নেগেটিভ আয়নের কাজ কি? কেন প্রতিটি ফ্যানে এটি লাগানো থাকে?

এটাকে বলে আয়নাইজার আর এর কাজ হলো বাতাস থেকে ছোট ছোট কণা যেমনঃ ধুলাবালি, সিগারেটের ধোয়া ইত্যাদি দূর করা। সাধারণত ধুলাবালি পজিটিভ চার্জ যুক্ত হয় তাই নেগেটিভ আয়ন দিয়ে এদের সহজেই আকর্ষণ করানো যায়। আয়নাইজার বাতাসে নেগেটিভ আয়ন ছড়িয়ে দেয়, নেগেটিভ আয়ন পজিটিভ চার্জ যুক্ত বিষাক্ত কণা গুলোকে টিউট্রালাইজ (ধ্বংস করে বা নিচের দিকে ফেলে দেয়) করার মাধ্যমে বাতাসকে আরও পিউরিফাই করে দেয়। এজন্যই মুলত আয়নাইজার ব্যবহার করা হয়। আবার কোনো কোনো গবেষণায় দেখা গেছে, আয়নাইজার ভাইরাসকেও মেরে ফেলতে পারে। 


তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। আয়নাইজার বাতাসে নেগেটিভ আয়নের পাশাপাশি ও্জোন গ্যাসও (Ozon Gas) ছড়ায়। ওজোন গ্যাসের কারণে ভাইরাস মরে যায় ঠিকই কিন্তু এটি আমাদের ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। আবার আইয়নাইজার কেবল ছোট ছোট কণা গুলোকেই নিউট্রালাইজ করতে পারে কিন্তু বড় কণাগুলোকে পারে না। তাই যাদের অ্যাজমা বা এলার্জি আছে তাদের জন্য এটা তেমন কোনো কাজে আসে না। 


সোর্স ও বিস্তারিতঃ https://www.healthline.com/health/what-does-an-ionizer-do

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
আগুনের মতো আমাদের শরীরে পানি দিলে কেন আগুনের মত নিভে গিয়ে ঠান্ডা হয় না?

প্রথমত আগুন আর আমাদের শরীরের তাপ এক জিনিস না। আগুনে পানি দিলে তা নিভে যায় কারণ আগুন একটি ওপেন ফ্লেম যা দহন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলতে থাকে। যেখানে অক্সিজেন, তাপ ও জ্বালানি একসাথে বিক্রিয়া করে। 


আগুনে পানি দিলে পানি তাপ শোষণ করে এবং বাষ্প হয়ে অক্সিজেনের প্রবাহ কমিয়ে দেয় ফলে আগুন নিভে যায়। কিন্তু আমাদের শরীরের তাপ এভাবে কাজ করে না। আমাদের শরীরের তাপ উৎপন্ন হয় কোষের অভ্যন্তরে বিশেষ করে মাইটোকন্ড্রিয়াতে যেখানে খাবার থেকে শক্তি উৎপাদনের সময় তাপ সৃষ্টি হয়। এই তাপমাত্রা আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক একটি অংশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখে আর এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় হোমিওস্ট্যাসিস (Homeostasis)।


 আমরা যখন ঠান্ডা পানি খাই তখন শরীর সাময়িকভাবে ঠান্ডা অনুভব করলেও শরীর তখন নিজে থেকেই তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ঘাম, রক্ত সঞ্চালন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো সিস্টেম গুলোর উপরে ইফেক্ট ফেলে এবং সেটা আবার পুষিয়ে নেয়। আর আমাদের শরীরের কোষগুলোতে সারাক্ষণই কোনো না কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া হতেই থাকে, এজন্য তাপও প্রতিনিয়তই উৎপন্ন হতে থাকে। এজন্যই আগুনের মতো আমাদের শরীরের তাপ একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় না। মৃত মানুষের শরীরে এরকম রাসায়নিক বিক্রিয়া গুলো হয় না এজন্য মৃতদেহ একেবারে ঠান্ডা হয়ে যায়। 

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
পৃথিবীকে কি একটি ব্ল্যাকহোলে পরিণত করা সম্ভব?

ব্ল্যাকহোল হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে, সেই বস্তুকে তার শোয়ার্জশিল্ড ব্যাসার্ধ (Schwarzschild Radius) এর মধ্যে সংকুচিত করতে হবে। এই শর্ত অনুযায়ী, পৃথিবীর শোয়ার্জশিল্ড ব্যাসার্ধ হয় ৮.৮৭ মিলিমিটার বা প্রায় ৯ মিলিমিটার যা একটি মার্বেলেরই সমান। তবে "ছোট্ট একটু জায়গায় অসীম পরিমাণ ভরের বস্তু থাকতে হবে" কথাটায় ভুল আছে। Singularity এর সঙ্গা অনুযায়ী এই কথাটি কারেকশন করলে হবে, "ছোট্ট একটু জায়গায় বস্তুর ঘনত্ব অসীম হতে হবে"। তাই সূর্য, পৃথিবী বা যেকোনো বস্তুর ভর অপরিবর্তিত রেখে যদি সেই বস্তুকে শোয়ার্জশিল্ড ব্যাসার্ধে সংকুচিত করা হয় তাহলে সেটিও ব্ল্যাকহোল হতে পারে। 


সিঙ্গুলারিটি সম্পর্কে জানুনঃ https://www.livescience.com/what-is-singularity


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
মাইক্রোওভেনের সামনে দাড়ালে কি মাথা গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
মাইক্রোওয়েভের সামনে দাঁড়ালে আপনার ব্রেইন বা মাথা গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বা নেই বললেই চলে।কারণ মাইক্রোওয়েভ ওভেন তৈরি করার সময় এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা বাইরে না আসতে পারে। যদি মাইক্রোওয়েভের দরজা ঠিকমতো বন্ধ থাকে এবং ওভেনের কোনো অংশ ভাঙা না থাকে তাহলে রেডিয়েশন বাইরে আসার কথা নয়। তাই আপনার ব্রেইন বা মাথায় কোনো ইফেক্টও ফেলবে না। 
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ছাদে পানি জমা করে রাখলে কি রুমে গরম কমে?

হ্যা, ছাদে পানি রাখলে আপনার রুমের গরম কিছুটা কমতে পারে। 


কংক্রিটের ছাদ দিনের বেলা সূর্য থেকে তাপ শোষণ করে আর নিচের দিকের রুম গুলোতে সেই তাপ রিলিজ করতে পারে। তাই ছাদের সব থেকে নিচের রুমগুলোতে গরম সবথেকে বেশি থাকে। কিন্তু আপনি যদি আপনার বাসার ছাদে পানি রাখেন তাহলে কিছুটা উপকারই হবে। পানিও সুর্যের তাপ শোষণ করে কিন্তু কংক্রিটের ছাদের মতো সেটা আর নিচেরে দিকে রিলিজ করে না। পানি যখন বাষ্পে পরিণত হয়, তখন সেটি ছাদ থেকে তাপ শুষে নেয় আর একে বলে Evaporative Cooling Effect। 


ফলে ছাদের নিচে থাকা রুম গুলো তুলনামূলক ঠান্ডা থাকে। আবার ছাদে পানি রাখলে সুর্যের তাপ সরাসরি কংক্রিটের উপর আসতে পারে না, কারণ কংক্রিটের উপরে একটা পানির স্তর থাকে তখন। এজন্য ছাদ তখন তুলনামূলক কম তাপ শোষণ করতে পারে। 


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
একটি মুরগি কি হঠাৎ করে মোরগে পরিণত হতে পারে?

এটা অসম্ভব কিছু না, হরমোনের প্রভাবে মুলত এরকটা ঘটে থাকে। এর আগেও এরকম অনেক ঘটনা দেখা গেছে। মুরগির শরীরের থাকে এস্ট্রোজেন হরমোন যা স্ত্রীলিঙ্গের বৈশিষ্ট গুলো প্রকাশ করে। 


কিন্তু কোনো কারণে যদি মুরগির ডিম্বাশয় নষ্ট হয়ে যায় বা ডিম্বাশয় কার্যক্ষমতা হারায় তাহলে এই এস্ট্রোজেন হরমোন কমে যায় আর টেস্টোটেরন হরমোন বেড়ে যায়। এই টেস্টোটেরন হরমোন মুরগির শরীরে পুংলিঙ্গের বৈশিষ্ট অর্থাৎ মোরগের বৈশিষ্ট ফুটিয়ে তুলতে থাকে। এজন্য তখন ধীরে ধীরে মুরগি থেকে মোরগের মতো বৈশিষ্ট পেতে থাকে। তখন মুরগিটির ঝুটি বড় হতে থাকে, মুরগি থেকে মোরগের ডাকে পরিবর্তিত হতে থাকে, পালকের রঙে পরিবর্তন আসতে থাকে, এমনকি।


 

যেহেতু তার ডিম্বাশয় নষ্ট হয়ে গেছে তাই তখন ডিম দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না অর্থাৎ ডিম পারা একদম বন্ধ করে দেয়। এরকম ঘটনাকে বলে মুরগির "Spontaneous Sex Reversal"। এরকমটা হওয়ার কারণে মুরগির বাহ্যিক ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা গেলেও জিন কিন্তু পরিবর্তন হয় না। তার দেহে একটা মুরগির জিনই থাকে। 


আরও বিস্তারিত জানতেঃ

  • https://www.livescience.com/13514-sex-change-chicken-gertie-hen-bertie-cockerel.html
  • https://animals.howstuffworks.com/birds/what-cluck-case-gender-changing-hen.htm

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সৌর ঝড় কি? কি কি সমস্যা হতে পারে সৌরঝড়ের কারণে?
সৌড় ঝড় (Solar Strom) এর প্রভাব সাধারণত নির্ভর করে এর তীব্রতার উপর। আর এর তীব্রতা মাপার জন্য তৈরি করা হয়েছে G-Scale (Geomagnetic Scale). এই স্কেল অনুযায়ী, সৌর ঝড়ের তীব্রতা G1, G2, G3, G4 ও G5 হিসেবে প্রকাশ করা হয়। যেখানে G1 হচ্ছে সব থেকে কম তীব্রতা ও G5 হচ্ছে সবথেকে বেশি। 

তাই সৌর ঝড়ের তীব্রতা কোনো স্কেলে পড়ে এটার উপর ডিপেন্ড করে ধারণা করা হয় এর প্রভাব কিরকম হতে পারে। তীব্রতা বেশি হলে বিঘ্নতার সমাধান করতে বেশি সময় লাগবে। যেমনঃ ২০২৪ সালের মে মাসে একটি শক্তিশালী সৌর ঝড় (G5 স্তরের) পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই ঝড়ের ফলে GPS সিস্টেম, স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং কিছু কিছু বিদ্যুৎ গ্রিডে সাময়িক বিঘ্ন দেখা যায়।

আবার এটা শুধু তীব্রতার উপরেই ডিপেন্ড করে না, কোন প্রযুক্তির উপর প্রভাব পড়েছে সেটাও অনেক বড় ফ্যাক্টর এখানে। সৌর ঝড়ের সময় সূর্য থেকে নির্গত করোনাল মাস ইজেকশন (CME) পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে এক প্রকার সংঘর্ষ করে যার ফলে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় সৃষ্টি হয়। এই ঝড়ের ফলে Geomagnetically Induced Current (GIC) তৈরি হয় যা বিদ্যুৎ গ্রিড, স্যাটেলাইট এবং সমুদ্রতল ফাইবার অপটিক কেবলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সিস্টেমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। 

তাই বিদ্যুৎ গ্রিডে যদি কোনো ঝামেলা হয় সেটা সাড়াতে যেসময় লাগতে পারে তার তুলনায় যদি সাবমেরিন ক্যাবল (ফাইবার অপটিক) এর ঝামেলা হলে সাবমেরিন ক্যাবলের ঝামেলা সাড়াতে বেশি সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক কারণ সেটা সমুদ্রের নিচে। 

তবে আপনার দেওয়া ফটোকার্ডে যে সৌড় ঝড়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা CNN থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত G4 স্কেলে রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এটি G3 স্কেলে হচ্ছিলো। কিন্তু এই সৌড় ঝড়ের কারণে মেজর বা গুরুতর কোনো সমস্যা হয়েছে ইন্টারনেট বা অন্যান্য সিস্টেমে - এরকম কোনো খবর পাওয়া যায় নি। এখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। 

তথ্যসুত্রঃ

https://www.swpc.noaa.gov/noaa-scales-explanation

https://www.earth.com/news/strong-geomagnetic-solar-storm-alert-issued-auroras-expected-farther-south/
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
মিলনের পর স্ত্রী অক্টোপাসরা কেন পুরুষ অক্টোপাসকে মেরে ফেলে?
Blue-Lined Octopus এর মতো কিছু অক্টোপাস প্রজাতি মিলনের পর স্ত্রী অক্টোপাস পুরুষটি অক্টোপাসকে খেয়ে ফেলে। এটাকে বলে Sexual Cannibalism. এটা শুধু অক্টোপাস নয় বরং আরও অনেক প্রাণির মধ্যেই দেখা যায় যেমনঃ কিছু প্রজাতির মাকড়সা, সাপ ইত্যাদি। 

স্ত্রী অক্টোপাস কেন পুরুষ অক্টোপাসকে মিলনের পর খেয়ে ফেলে এর পিছনে কিছু কারণ আছে। স্ত্রী অক্টোপাস মিলনের সাধারণত ৪০ দিন পর ডিম পাড়ে। একবার ডিম পাড়ার পর তারা তাদের ডিমের যত্ন নেওয়া শুরু করে। এই সময়টা তারা কোনো খাবার খায় না। এমনকি তারা পরবর্তীতে তাদের বাচ্চাদের দেখাশোনার সময়টাতেই কিছু খায় না। তাই ডিম পাড়ার আগে তাদের যতটা সম্ভব খাবার খেতে হবে যাতে তারা পরবর্তীতে ব্রুডিংয়ের জন্য শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। হতে পারে তাদের কয়েক মাস পর্যন্ত না খেয়ে থাকা লাগতে পারে। 

আবার মিলনের পর পুরুষ অক্টোপাস সাধারণত কিছুদিন বাঁচে মাত্র। অপরদিকে স্ত্রী অক্টোপাসেরও পুষ্টি দরকার অনেক। এজন্যই স্ত্রী অক্টোপাস পুরুষ অক্টোপাসকে খেয়ে ফেলে। 

তথ্যসুত্রঃ 

https://www.npr.org/2025/03/23/nx-s1-5334490/male-octopuses-are-usually-killed-by-females-after-mating-now-they-may-have-found-a-way-out
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বরফের যুগে মানুষ কিভাবে বেচে ছিলো?
বরফের যুগ বলতে সেই সময়টাকেই বুঝানো হয় যেসময়টায় পৃথিবীর তাপমাত্রা এতটাই কমে গিয়েছিল যে বিশাল অঞ্চল বরফে ঢেকে গিয়েছিল। তবে এমনটা না যে পুরো পৃথিবী বরফে ঢাকা ছিল। বরং কিছু অঞ্চল তাপমাত্রায় সহনীয় ছিল যেখানে প্রাণীরা বেঁচে থাকতে পারত।

বরফের যুগেও মানুষ ছিল তবে আধুনিক মানুষ না। আধুনিক মানুষের (Homo sapiens) পূর্বপুরুষরা যেমন Neanderthals, Homo erectus এরা তখন পৃথিবীতে ছিল।  আমাদের এসব পূর্বপুরুষদের ঠান্ডায় টিকে থাকার মতো দারুণ সক্ষমতা ছিলো। তাদের শক্তি ছিল সাথে অসাধারণ বুদ্ধিও। আমাদের মতো আধুনিক মানুষের প্রত্যাবর্তন হয় বরফের যুগের শেষের দিকে। 

তখনকার সময়, আগুন আবিষ্কার করে মানুষ শীত থেকে বাঁচতে পেরেছিল। তারা পশু শিকার করে তাদের চামড়া দিয়ে গরম পোশাক বানাতো শীত নিবারণের জন্য। আবার বরফ থেকে বাঁচার জন্য তারা গুহায় বাস করতো যেগুলো স্নো-স্ট্রোম থেকে কিছুটা সুরক্ষা দিতো। সব থেকে ভালো আর শক্তিশালী একটি দিক হলো আমাদের পূর্বপুরুষরা দলবদ্ধ হয়ে থাকতো, একে অপরকে সাহায্য করতো আর পরিস্থিতি বুঝে নিজেদের পরিবর্তন করতে পারতো। মানে যা করতো সব তারা এক হয়েই করতো। এভাবেই তারা ধীরে ধীরে তারা পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শিখে যায়। 

আবার মানুষ ছাড়া বাকি সব প্রাণী বরফের নিচে ছিল এমন ধারণাও ঠিক নয়। কিছু প্রাণী যেমন ম্যামথ, স্যাবার-টুথ টাইগার, বরফে ঠিকে থাকার ক্ষমতা অভিযোজন করেও টিকে ছিলো। আবার কিছু প্রাণী দক্ষিণে উষ্ণ অঞ্চলে চলে গিয়েছিল।

আজ থেকে প্রায় ১১,৭০০ বছর আগে, যখন পৃথিবী আবার একটু একটু করে উষ্ণ হতে শুরু করলো তখন মানুষ এক জায়গায় স্থায়ী ভাবে বাস করা শুরু করে। সেখান থেকেই গড়ে উঠলো কৃষি, সমাজ আর ধীরে ধীরে সভ্যতার জন্ম হলো। তখনই প্রত্যাবর্তন হয় আজকের আমাদের মতো আধুনিক মানুষের।

তথ্যসুত্রঃ https://www.discovermagazine.com/planet-earth/how-humans-survived-the-ice-age
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
আমরা সবখানে এলিয়েনদের যে ছবিটি দেখি এটা কি এলিয়েনদের আসল রুপ? বিজ্ঞানীরা কিভাবে জানলো এলিয়েনরা দেখতে এরকম?

আমরা সব জায়গায় এলিয়েনদের যে ছবিটি দেখতে পাই সেই অবয়বের নাম হলো 'গ্রে এলিয়েন (Gray Alien)'. এটি পুরোটাই একটি কাল্পনিক কারণ এখন পর্যন্ত এলিয়েনদের অস্তিত্বই প্রমাণিত হয় নি তাহলে এলিয়েনদের বাস্তব অবয়বের কোনো প্রশ্নই আসে না। 


গ্রে এলিয়েনদের ডিজাইন কনসেপ্টটা আসলে বিজ্ঞানের চেয়ে বেশি গড়ে উঠেছে কল্পনা, পপ কালচার আর মানুষের অবচেতন মনের গহীন থেকে। সবকিছুর শুরু ১৯৪৭ সালের Roswell Incident দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর ছোট্ট শহর রসওয়েলে একটি 'উড়ন্ত বস্তু' ভেঙে পড়ে। প্রথমে সংবাদ মাধ্যম গুলোতে দাবি করা হয়েছিল, সেটি ছিল একটি UFO! ফলে দেশজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়—"এলিয়েন কি সত্যিই আমাদের মাঝে এসেছে?" এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় মানুষের ক্রিয়েটিভিটি। এই ঘটনা প্রচার করতে মানুষ এলিয়েনদের বিভিন্ন অবয়ব তৈরি করতে শুরু করে। সেখান থেকে চলে আসে গ্রে এলিয়েনদের ডিজাইন কনসেপ্ট।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানায় যে ভেঙ্গে পড়া উড়ন্ত বস্তুটি আসলে ছিল একটি "Weather Balloon", যার ছিল গোপন সামরিক পরীক্ষার অংশ (Project Mogul)। 


তারপর ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে ১৯৬১ সালে "বেটি এবং বার্নি হিল" নামে এক দম্পতির দাবি থেকে। তারা একদিন দাবী করে বসেন যে, এক রাতে তারা UFO দ্বারা অপহৃত হয়েছিলেন এবং যারা অপহরণ করেছিল তাদের চেহারা ছিল ঠিক এইরকম। সেই ঘটনার পর থেকেই এই চেহারাটা মানুষের কল্পনার এলিয়েন হিসেবে গেঁথে যায়। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী এলিয়েনরা যেরকম দেখতে ছিলো - ধূসর বর্ণের গায়ে, বড় মাথা, বিশাল কালো চোখ, ছোট নাক আর মুখ, আর একদম পাতলা শরীর। সেখান থেকেই গ্রে এলিয়েনদের এই ডিজাইন অনেক জনপ্রিয় হয়ে যায়।


এরপর একে আরও জনপ্রিয় করে তোলে ১৯৭০-এর দশকের সাইফাই সিনেমাগুলো বিশেষ করে স্পিলবার্গের "Close Encounters of the Third Kind" এবং পরবর্তীতে "The X-Files" সিরিজ। এগুলোতে গ্রে এলিয়েনদের এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল যেন এটাই এলিয়েনদের ‘রিয়েল লুক’। আর্টওয়ার্ক, কমিকস, বইয়ের কভার সব জায়গাতেই ওই একই রুপ।


এই ডিজাইনটা এতটাই গভীরভাবে মানুষের মস্তিষ্কে ঢুকে গেছে যে এখন কেউ "এলিয়েন" বললেই আমাদের মনে একদম স্বাভাবিকভাবে এই রূপটাই ভেসে ওঠে। যদিও বাস্তবে এমন কোনো এলিয়েন কখনও পাওয়া যায়নি। 


তথ্যসুত্রঃ https://www.grunge.com/1288445/where-grey-alien-imagery-come-from/


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
ব্ল্যাক হোলের ভিতর কোনো বস্তু প্রবেশ করলে সেটা আর ফেরত আসতে পারে না কেন?
ব্ল্যাক হোলের সব থেকে বাহিরের অংশ হচ্ছে ইভেন্ট হরাইজন। এই ইভেন্ট হরাইজনের ভিতরে একবার কোনো কিছু প্রবেশ করলে সেটা আর ফেরত আসতে পারে না সেটা যদি আলোও হয় তবুও।

কারণ ইভেন্ট হরাইজনের ভিতরে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ এতো বেশি যে, সেখান থেকে আবার ফেরত আসতে হলে আলোর বেগের চেয়েও বেশি বেগে পালাতে হবে। কিন্তু আলোর বাস্তবে আলোর বেগই হচ্ছে সর্বোচ্চ বেগ, কোনো বস্তুর বেগ আলোর বেগের থেকে বেশি হওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু আলোকে তার নিজের সর্বোচ্চ বেগের চেয়েও বেশি বেগে পালাতে হবে তাই আলো নিজেও ব্ল্যাক হোলের ভিতরে হারিয়ে যায়। 

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এর কার্যক্রম

স্কোর:
634 পয়েন্ট (অবস্থান #1)
প্রশ্ন:
142
উত্তর দিয়েছেন:
140
মন্তব্য করেছেন:
0
ভোট দিয়েছেন:
0 টি প্রশ্ন, 1 টি উত্তর
দিয়েছেন:
1 টি আপ ভোট, 0 টি ডাউন ভোট
পেয়েছেন:
19 টি আপ ভোট, 0 টি ডাউন ভোট
...